কলকাতা: স্কুল খোলার দাবিতে এসএফআই-এর মিছিল। আর সেই মিছিল ঘিরে তুমুল উত্তেজনা সল্টলেকের করুণাময়ীতে। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সরায় পুলিশ।
স্কুল খোলার দাবিতে সোমবার বিকাশ ভবন অভিযান কর্মসূচি নেয় এসএফআই। আগে থেকে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে এগোতে থাকেন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা করুণাময়ী পৌঁছতেই পথ আটকায় পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চায় পুলিশ।
অভিযোগ, পুলিশ একপ্রকার চ্যাঙদোলা করে এসএফআই কর্মী সমর্থকদের রাস্তা থেকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা।
এসএফআই-এর বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রসমাজ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহু গরিব ছাত্রছাত্রীরাই অনলাইনে ক্লাস করতে সক্ষম নয়। রাজ্যের বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে সব কিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে গেলেও বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। এসএফআই-এর দাবি, প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আংশিকভাবে খোলা হোক স্কুল।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, “সবচেয়ে বেশি পড়ুয়ারাই ক্ষতি হচ্ছে। বাংলায় এখন ধীরে ধীরে সবই খুলে যাচ্ছে। তবে কেন বন্ধ থাকবে স্কুল কলেজ? ছাত্রছাত্রীদের কতটা ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা বুঝতে পারছে সরকার?” এসএফআই-এর দাবি, তারা পানশালার সরকার চান না, পাঠশালার সরকার চান।
এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে এসএফআই কর্মী সমর্থকদের রীতিমতো ঠেলে, ধাক্কাধাক্কি করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। ঘণ্টা খানেক উত্তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজ স্কুল দু বছর ধরে বন্ধ। অথচ বার-রেস্টুরেন্ট, শপিং মল সব খোলা। সব রকম মচ্ছব চলছে। তাহলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কী হবে?”
অন্যদিকে, একই দাবিতে সোমবার বেলা বারোটা থেকে বনগাঁ এক নম্বর গেট থেকে শতাধিক অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা পোস্টার ব্যানার হাতে নিয়ে বনগাঁ যশোর রোড ধরে হাঁটতে থাকেন। পরবর্তীতে তাঁরা ডিআই অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন।
সঙ্গে ছিলেন বহু অভিভাবকও। এক অভিভাবক বলেন, “এখন মেলা খেলা সব কিছুই চলছে। ছাত্র-ছাত্রীরা মেলায় বিয়ে বাড়ি-সহ বহু জায়গায় যেতে পারছে। তাহলে স্কুলে কেন যেতে পারবে না?”