প্রতিটি রাজনৈতিক দলই যেন কাজের সুবিধা পায়, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া কমিশন!

Dec 17, 2020 | 8:01 PM

প্রতিটি রাজনৈতিক দল যাতে নিজের মতো কাজের সুযোগ পায়, তার নির্দেশ দেওয়া দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।

প্রতিটি রাজনৈতিক দলই যেন কাজের সুবিধা পায়, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া কমিশন!
ছবি- টুইটার

Follow Us

কলকাতা: একুশের নির্বাচনের আগে বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে প্রথম বৈঠকেই কড়া কমিশন (Election Commission)। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে নিয়মিত আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল যাতে নিজের মতো কাজের সুযোগ পায়, তার নির্দেশও দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আশি বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট করার কথা বলেছেন তিনি। অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার বুথগুলিতেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন।

প্রসঙ্গত, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ীই পাঁচ দিনের বাংলা সফরে এসেছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক-পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এদিন বৈঠকে ছিলেন বিহারের চিফ ইলেকশন অফিসারও। বৈঠকের দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন:  নাড্ডার কনভয়ে হামলার জের, ৩ আইপিএসকে ডেপুটেশনে পাঠাল কেন্দ্র

এদিনের বৈঠকে মূলত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি জেলার যাবতীয় ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে চান সুদীপ জৈন। সূত্রের খবর, বাংলার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান।শুক্রবার হেলিকপ্টারে মালদহে যাবেন তিনি। মালদহের জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর শিলিগুড়ি গিয়ে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সুদীপ জৈনের। বিরোধীদের অভিযোগ মাথায় রেখে, বাংলার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির ওপরেই যে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে, তার  স্পষ্ট বার্তা এদিনের বৈঠকেই পাওয়া যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে বিজেপির শিশির বাজোরিয়া বলেন, “ভোটার তালিকা স্বচ্ছ নয়। বহু ভুয়ো ভোটার রয়ে গিয়েছে। কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে।” রাজ্যের পরিস্থিতির কথা তুলে অবিলম্বে পর্যবেক্ষক, কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি তোলেন তিনি।  একই কথা বলেন ভারতী ঘোষও।

Next Article