প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: যে ‘অপরাধ’ করেছেন অজন্তা বিশ্বাস, তাতে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তা না হলে বহিষ্কারের সম্ভাবনাই জোরাল হচ্ছে। সিপিএমের অন্দরে কান পাতলে সে কথা শোনা যাচ্ছে।
তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় লেখার কারণ নিয়ে অজন্তার সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের প্রাথমিক কথা হয়েছে। অনিল কন্যার সেই জবাবে সিপিএম সন্তুষ্ট নয়। তবে পরবর্তীতে যে শোকজ চিঠি অজন্তার কাছে পাঠিয়েছিল তাঁর ইউনিট, তার উত্তর অবশ্য আসেনি। শো কজের জবাব অজন্তা দেননি।
তবে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, অজন্তা ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করতে হবে। একদা কলকাতা জেলা কমিটি নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দল শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পক্ষেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সময়ে কৌস্তভ তাঁর ভুলের স্বীকার করে নেন। তারপরে আর দলের প্রাক্তন ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে আর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি। প্রসঙ্গত, ভিডিও প্রমাণে অভিযুক্ত যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুব নেতা কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়। দলের অনেকে বলছেন, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক যদি সে পথে হাঁটেন, তবে দল শাস্তির ক্ষেত্রে কিছুটা কম কঠোর হতে পারে। আর তা না হলে সাময়িক সাসপেন্ডের তুলনায় বহিষ্কারের সম্ভাবনা বেশি বলেই জানাচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্বের অনেকে।
রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছিলেন, অজন্তা পার্টি সদস্য হিসেবে যা করেছেন, তা তো কাম্য নয়ই। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কখনই তা করা যায় না। তাঁকে চার্জশিট দেওয়া হবে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে।
রাজ্য কমিটির সদস্য নন অজন্তা। তিনি যে কমিটির আওতাভুক্ত। অর্থাৎ অজন্তার সদস্যপদ যে কমিটি অধীনে, তাঁকে শোকজ করেছেন তাঁরা। যদি কোনও বিষয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়, তখন তা উচ্চতর কমিটি দেখবে। লোকাল যে ইউনিট তাঁরা তিন থেকে ছ’মাস সাসপেন্ড করতে পারেন। যদি এক বছরের জন্য সাসপেন্ড বা বহিষ্কার বিষয় থাকে, তখন তা উচ্চতর কমিটির অধীন। আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত