কলকাতা: আজ নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রে যে উপনির্বাচন সেই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই নিয়ে মতামত জানাবে। প্রতিনিধি দলে থাকছেন সৌগত রায়, জহর সরকার, মহুয়া মৈত্র, সাজদা আহমেদ, সুখেন্দু শেখর রায়।
এদিকে, করোনা আবহের মধ্যে নির্বাচন সঠিক বিধি মেনে হোক, এই দাবি জানিয়েই তৃণমূল প্রতিনিধি দল কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। দ্রুত রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন ও দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট চাইছে তৃণমূল। কারণ ৫ই নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিকে, উপনির্বাচন চায় না রাজ্য বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিস্থিতিই নেই। আট দফা কারণ তুলে ধরে রাজ্য বিজেপি এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। বিজেপি যুক্তি খাঁড়া করেছে, বাংলায় এখন নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই। কারণ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম লোক নিয়ে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আছড়ে পড়তে চলেছে তৃতীয় তরঙ্গ। রাজ্যে যে সরকার রয়েছে, তার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের কোনও সংকট নেই, সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়।
এরই মাঝে সব দলের থেকেই উপনির্বাচন নিয়ে মত জানতে চেয়েছে কমিশন। তৃণমূল আসলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই দ্রুত উপনির্বাচন করাতে চাইছে। আর বিজেপি চাইছে তা পিছিয়ে দিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে যে কোনও ভাবে হলেও নিয়ম অনুযায়ী এক দিনের জন্য পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই বিজেপি চাইছে যেভাবেই হোক এই ভোট পিছিয়ে দিতে। তাতে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তেমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
বিজেপি যুক্তি খাঁড়া করেছে, করোনার দোহাই দিয়েই তো রাজ্য সরকার ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে। তাহলে কেন তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ার আগেই উপ নির্বাচন করাতে এত মাথা ব্যথা তৃণমূলের? সেক্ষেত্রে আগে পুর নির্বাচন করার দাবি তুলেছে বিজেপি। কমিশনের কাছে এই সব যুক্তিই তুলে ধরবেন বিজেপি নেতৃত্ব। শীঘ্রই কমিশনের কাছে তাঁদের মতামত জানাতে জানাবেন তাঁরা। সব কয়েকটি বক্তব্যের নেপথ্যে যুক্তিও খাঁড়া করবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কমিশনের কাছে যেতে চলেছে বিজেপি। তার আগে আজই, কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। উপনির্বাচনের পক্ষে তৃণমূল কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরবে কমিশনের কাছে। অন্যদিকে, সেগুলিকে নস্যাত্ করে অন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। কমিশন কোনটিতে মান্যতা দেয় সেটাই দেখার। উপ নির্বাচনের আগে পুজো আবহেই যে আরেকটা দামামা বাজতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভের জের? বিষপান-বিতর্কের মাঝেই নতুন করে বদলির নির্দেশ ৩ এসএসকে শিক্ষিকাকে