কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল দুর্নীতি ইস্যুতে। তা নিয়ে মুখ খুলেছেন এসএসসি মামলার অন্যতম আইনজীবী এবং সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি৯ বাংলার ম্য়ানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তোপ দেগেছেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন শাসকদলকে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। তৃণমূলও আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। এদের দুর্নীতির মুখোশটা খুলে ফেলা দরকার।” ২০১১ সালের পর থেকে ভারতবর্ষের সামনে পশ্চিমবঙ্গের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
দুর্নীতির বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিকাশরঞ্জন বলেছেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও টাকা পয়সা লেনদেনের ছবি সামনে এসেছিল। একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ভোটে জিতে শাসকদলের নেতারা দাবি করতে থাকেন, যেহেতু তাঁরা ভোটে জিতেছেন, তাই সমস্ত দুর্নীতির ঊর্ধ্বে তাঁরা।” শুক্রবারের ঘটনার পর দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল-যোগের অন্তত একটি প্রমাণ সামনে এল বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিকাশ বলেছেন, “সিঙ্গলবেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা উদ্যোগী হয়ে তদন্তের নির্দেশ না দিলে এত বড় দুর্নীতি আড়ালে থেকে যেত।” বিকাশ মনে করেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এই সরকারকে চেপে ধরেছে আদালত। সে জন্যই তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্ত এড়ানোর পথ পায়নি বলে মনে করেন তিনি। তাই কিছু সত্য সামনে এসেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জেরে এ রাজ্যের আগের বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ধামাচাপা পড়েছে বলে দাবি তাঁর। এই তদন্তে তেমন না হলে আরও বড় নাম সামনে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বলেছেন, “তদন্ত শেষ হোক। দ্রুত তদন্ত হোক। তদন্তে যেন কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়। গোটা মন্ত্রীসভা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।”
তবে টাকা উদ্ধার করলেই তদন্ত শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন বিকাশ। এই টাকা কোথা থেকে এল? টাকার উৎস কী? এই সব ব্যাপারেও সত্য সামনে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের হস্তক্ষেপে দুর্নীতির ছায়া কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন তিনি।
২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিকাশরঞ্জনকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই আক্রমণ তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি বলে ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বিকাশ।
কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল দুর্নীতি ইস্যুতে। তা নিয়ে মুখ খুলেছেন এসএসসি মামলার অন্যতম আইনজীবী এবং সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি৯ বাংলার ম্য়ানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তোপ দেগেছেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন শাসকদলকে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। তৃণমূলও আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। এদের দুর্নীতির মুখোশটা খুলে ফেলা দরকার।” ২০১১ সালের পর থেকে ভারতবর্ষের সামনে পশ্চিমবঙ্গের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
দুর্নীতির বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিকাশরঞ্জন বলেছেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও টাকা পয়সা লেনদেনের ছবি সামনে এসেছিল। একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ভোটে জিতে শাসকদলের নেতারা দাবি করতে থাকেন, যেহেতু তাঁরা ভোটে জিতেছেন, তাই সমস্ত দুর্নীতির ঊর্ধ্বে তাঁরা।” শুক্রবারের ঘটনার পর দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল-যোগের অন্তত একটি প্রমাণ সামনে এল বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিকাশ বলেছেন, “সিঙ্গলবেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা উদ্যোগী হয়ে তদন্তের নির্দেশ না দিলে এত বড় দুর্নীতি আড়ালে থেকে যেত।” বিকাশ মনে করেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এই সরকারকে চেপে ধরেছে আদালত। সে জন্যই তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্ত এড়ানোর পথ পায়নি বলে মনে করেন তিনি। তাই কিছু সত্য সামনে এসেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জেরে এ রাজ্যের আগের বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ধামাচাপা পড়েছে বলে দাবি তাঁর। এই তদন্তে তেমন না হলে আরও বড় নাম সামনে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বলেছেন, “তদন্ত শেষ হোক। দ্রুত তদন্ত হোক। তদন্তে যেন কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়। গোটা মন্ত্রীসভা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।”
তবে টাকা উদ্ধার করলেই তদন্ত শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন বিকাশ। এই টাকা কোথা থেকে এল? টাকার উৎস কী? এই সব ব্যাপারেও সত্য সামনে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের হস্তক্ষেপে দুর্নীতির ছায়া কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন তিনি।
২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিকাশরঞ্জনকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই আক্রমণ তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি বলে ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বিকাশ।