Koustav Bagchi: ‘পুলিশকে বেআইনি কাজের জন্য উৎসাহিত করছেন?’ কৌস্তভ মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

Koustav Bagchi: বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাবের পর বিচারপতির মন্তব্য, "জনসমক্ষে এক জন আরেক জনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, এটা কি খুব গ্রহণযোগ্য?"

Koustav Bagchi: 'পুলিশকে বেআইনি কাজের জন্য উৎসাহিত করছেন?' কৌস্তভ মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ভর্ৎসনা বিচারপতির
কলকাতা হাইকোর্টে কৌস্তভ বাগচী মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 2:32 PM

কলকাতা: আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি মামলায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। কেন কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে পুলিশি অভিযান হল, রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। তিনি আরও বিস্ময় প্রকাশ করেন, কীভাবে পুলিশ কমিশনার এই পুলিশি অভিযান যুক্তিগ্রাহ্য বলছেন! এদিনের সওয়াল জবাবের সময়ে সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “গোটা ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়, সবাই জানে। তাহলে কি এটা মনে করতে হবে, যে কমিশনার তার অধীনস্থ পুলিশকে বেআইনি কাজের জন্য উৎসাহিত করছেন?”

বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাবের পর বিচারপতির মন্তব্য, “জনসমক্ষে এক জন আরেক জনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, এটা কি খুব গ্রহণযোগ্য?” পুলিশকে সতর্ক করার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যের কাছে এক্ষেত্রে হলফনামা তলব করেছেন তিনি। ১২ এপ্রিলের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। ২০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তবর্তী নির্দেশ।

মামলার প্রেক্ষাপট গত ৩ মার্চ মধ্যরাতে কৌস্তভের বারাকপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। ভোর পর্যন্ত তাঁর বাড়িতেই ছিলেন পুলিশ কর্তারা। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বার করে আনা হয়। কৌস্তভের বক্তব্য ছিল, তাঁকে বিনা কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির ৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিনও পেয়ে যান কৌস্তভ। তারপর থেকেই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয় চর্চা। পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কৌস্তভ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। তাতেই পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি।