কলকাতা ও মুম্বই: মঙ্গলবার আরব সাগরের তীরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই-এর বিভিন্ন পদগুলির দায়িত্বে আগামী দিনে কারা থাকছেন, সেই নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক। সূত্রের খবর, বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদে আর থাকছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই জায়গায় আনা হতে পারে রজার বিনিকে। তবে সৌরভ প্রেডিসেন্ট পদে না থাকলেও বোর্ডের সচিব পদে অমিত শাহর পুত্র জয় শাহই থেকে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। অতীতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। কিন্তু ‘মহারাজ’ এখনও সেইদিকে এগোননি। সেই কারণেই কি বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ খোয়াতে হচ্ছে সৌরভকে? এমন জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র? কুণাল ঘোষ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য যোগ্যতম লোক সৌরভই। তাঁর কোনও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বা উপলব্ধি থাকলেও তিনি কতটা তা মুখ ফুটে বলতে পারবেন, তা আমি জানি না। কিন্তু যেভাবে বিজেপি সারা বাংলার মানুষের মধ্যে একটি প্রচার ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, সৌরভকে তারা পেতে চলেছে, যেভাবে হেভিওয়েট নেতা তাঁর বাড়িতে গিয়ে নৈশভোজ করেছিলেন… সেই প্রচারের জোয়ার যখন ছিল, তখন ভাটার প্রশ্নটাও তো বিজেপিকে শুনতেই হবে। সৌরভ বিজেপিতে গেলেন না বলেই কি বিজেপি নেতার ছেলে থাকবেন দায়িত্বে আর সৌরভ থাকবেন না?” সঙ্গে অবশ্য কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “আমরা এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু এই ধরনের প্রচার যেহেতু বিজেপির তরফ থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাই এই ধরনের জল্পনার জবাব দেওয়ার দায়িত্বও বিজেপির নিশ্চয়ই থাকবে।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে বিজেপির থেকেও। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে সাফ জানিয়েছেন, “মতাদর্শের জলাঞ্জলি না দিয়ে, কারও কাছে আত্মসমর্পন না করে বিজেপি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে। কোনও ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে নয়।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর নির্ভর করে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থন না থাকলে আমরা অপাংক্তেয় হয়ে যাব?” শমীক বাবুর বক্তব্য, “বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু কুৎসা করতে হয়, তৃণমূল তা চালিয়ে যাচ্ছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে এই ধরনের প্রশ্ন তোলা হলে কার্যত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই অপমানিত করা হবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা তাতে আহত হবেন। খেলার দুনিয়ায় এই ধরনের বিতর্ক কাম্য নয়।”