নয়া দিল্লি : গত কয়েক মাস ধরে ইডি ও সিবিআই দুই গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কখনও তলব করা হয়েছে, কখনও জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। অবশেষে রাতভর ম্যারাথন জেরার পর প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দেওয়ার পরও কী ভাবে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন মানিক। কী কারণে গ্রেফতারি? রক্ষাকবচের পরিধিটাই বা কী? এই সব প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে ইডি গ্রেফতার করার পর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন মানিকের আইনজীবী। এ দিনই যাতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে। মানিকের পক্ষে সওয়াল করবেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মানিকের মামলার শুনানি শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে মানিককে রক্ষাকবচ দেওয়া হলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা না করলে রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে মূলত সিবিআই তদন্ত নিয়েই সেই মামলা হয়েছিল। আর এবার মানিককে গ্রেফতার করেছে ইডি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই দিন রাত ৮ টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে মানিককে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিল আদালত। তবে পরে ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন, গ্রেফতার করা হবে কি না, সেটা সিবিআই ঠিক করবে। তবে ওই দিন সিবিআই দফতরে যাননি মানিক। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।