AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arjun Singh-Kunal Ghosh: অর্জুনের গাণ্ডীব থেকে তির আসতেই পাল্টা বাণ ছুড়লেন কুণাল

Arjun Singh-Kunal Ghosh: সম্প্রতি অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব থামাতে ব্যারাকপুরে ছুটে গিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। অর্জুন সেই বৈঠকে এলেও দেখা পাওয়া যায়নি সোমনাথ শ্যামের। এরই মধ্যে অর্জুন সিং সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রোজ দলের কিছু নেতা, অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2024 | 2:25 PM
Share

কলকাতা: নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দলের একাংশের সঙ্গে যে আর এক অংশের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, গত কয়েকদিনে এমন অনেকগুলি উদাহরণ সামনে এসেছে। কখনও কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করছেন ফিরহাদ হাকিমকে, আবার কখনও একেবারে সম্মুখ সমরে নেমে পড়ছেন সাংসদ অর্জুন সিং আর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এবার কি ময়দানে অর্জুন বনাম কুণাল? সাম্প্রতিক মন্তব্যে তেমনই প্রশ্ন উঠছে। শাসক দলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং যে বছর কয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার সে কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

সম্প্রতি অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব থামাতে ব্যারাকপুরে ছুটে গিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। অর্জুন সেই বৈঠকে এলেও দেখা পাওয়া যায়নি সোমনাথ শ্যামের। এরই মধ্যে অর্জুন সিং সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রোজ দলের কিছু নেতা, অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। দলকেই খাস্তা করছেন। এতে তো বিজেপির হাত শক্ত হচ্ছে।” তিনি জানান, দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি আর্জি জানাবেন যাতে ওই নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। তাঁর দাবি, বিরোধীরা এই দ্বন্দ্ব দেখে মজা নিচ্ছে।

অর্জুনের এই বক্তব্য শুনে কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে উনি নিজের এলাকা সামলান। তারপর দলের কথা ভাববেন।” এরপরই দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ভোটের আগে তো বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তখন তো দলের জন্য দরদ ছিল না। ফিরে এসেছেন, এবার প্রায়শ্চিত্ত করুন। এর থেকে বেশি কিছু বলব না।”

সাম্প্রতিক সময়ে এমন দ্বন্দ্ব নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই দলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে শোনা গিয়েছিল দলেরই মুখপাত্র কুণালকে। এমনকী দলের অন্যতম শীর্ষ পদে থাকা সুব্রত বক্সীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল।