সৌরভ গুহ ও প্রদীপ্তকান্তি ঘোষের রিপোর্ট
কলকাতা: একদিন আগেই হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। তারপরেই ফের শুরু জল্পনা। তৃণমূলে কী প্রবীণ ও মমতাপন্থীদের একাধিপত্য? বিতর্ক বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। হুমায়ুনের নিশানায় দলের দুই প্রবীণ নেতা ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই তীব্র চাপানউতোর চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।
এবারের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেককে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এই যে এক দেড় মাস কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপনারা আমাকে দেখেননি। তার কারণ পর্যালোচনার কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম। আগামী তিন মাসের মধ্যে এর ফল আপনারা দেখবেন।” একুশে জুলাইয়ের পর পেরিয়ে গিয়েছে চার মাস। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের হুঁশিয়ারির আঁচ এখনও কাউকে পোহাতে হয়নি। দল, পঞ্চায়েত বা পুর প্রশাসন, বিশেষ রদবদল ছবি দেখা যায়নি কোনও ক্ষেত্রেই। উল্টে সোমবারের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর দিল্লির মুখপাত্রের দায়িত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি শুধু দিল্লি নিয়েই বলবেন অভিষেক?
ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর প্রশ্ন, “কী এমন ঘটনা ঘটল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়াকে দমিয়ে রাখতে হবে? কেন? কার স্বার্থে ঘা লাগছে? অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হলে আমরা মেনে নেব?” যদিও উত্তর আবার দিয়েছেন নিজেই। বলছেন, “যাঁরা মমতার সঙ্গে অভিষেকের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে তাঁরা সফল হবে না।” প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী ও ফুলটাইম পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি করেছিলেন হুময়ান। তখন হুমায়ুনকে নিশানা করেন ফিরহাদ। বলেন, “মমতা সব করতে সমর্থ। আমরা মমতার ছবি লাগিয়ে জিতি। যাঁরা বড় বড় কথা বলে তাঁদের বলব মমতার ছবি সরিয়ে দিয়ে একটা নির্বাচন জিতে দেখাক।”
এদিকে চাপানউতোরের মধ্যেই মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষও। বলছেন, “এই অবাঞ্ছিত বিতর্ক টেনে আনাকে সমর্থন করি না। উনি নেতা, বিধায়ক, ওনার যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে দলের যথাযথ নেতৃত্বের বলার সুযোগ-অধিকার রয়েছে। তার বদলে এই বাজার গরম করার কোনও অর্থ হয় না।” যদিও সিপিএম বলছে সবটাই ‘সেটিং’। আগে থেকেই সব ঠিক করা রয়েছে। তাই এমন বকছেন হুমায়ুন। যদিও হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে পাত্তা দিলেন না ফিরহাদ। বললেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না।’