Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘জামাইষষ্ঠীতে হাফ জামাই সেজে সম্পত্তি ত্যাগ করছে…’, ‘নিরীহ’ টু্ইট কুণালের

ফেসবুকে বৈশাখীর নাম বদল ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। বৈশাখীকে সম্পত্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

'জামাইষষ্ঠীতে হাফ জামাই সেজে সম্পত্তি ত্যাগ করছে...', 'নিরীহ' টু্ইট কুণালের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 4:08 PM

কলকাতা: গভীর রাতে আচমকা ফেসবুকের নাম বদলে ফেললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, জুড়ে দিলেন শোভনের নাম। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে সব সম্পত্তি বৈশাখীকে দেওয়ার কথা বললেন শোভন। প্রাক্তন মেয়র আর তাঁর বান্ধবীর এই সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হিসেবেই জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয়। নাম না করে এ বার শোভন-বৈশাখীকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শোভনকে ‘গ্লাক্সো বেবি’ আর বৈশাখীকে ‘ফুলটুসি’ বলে কটাক্ষ কুণালের। তবে এই দু’জনের তৃণমূলে ফেরা কি সম্ভব? সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দিলেন না কুণাল।

বুধবার একটু টুইটে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘গ্ল্যাক্সোবেবি কি নিজের পদবি ছেড়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবি নিল নাকি? জামাইষষ্ঠীর দিন ডামি-জামাইয়ের এমন পদবিত্যাগ ও ফুলটুসিকে সম্পত্তিদান সার্কাসের এক অপূর্ব ইভেন্ট।’ আজ বুধবার বাঙালিরা জামাই ষষ্ঠীতে মেতে উঠেছেন। তার মধ্যেই শোভন-বৈশাখীর সোশ্যাল মিডিয়ার এই সব পোস্ট নিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘বেশ আমোদ লাগল।’ তাঁর দাবি, তিনি নিছকই একটি নিরীহ টুইট করেছেন। এতে তাঁর কারও সম্পর্কে মন্তব্য করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। TV9 বাংলাকে কুণাল ঘোষ বলে, ‘রাজ্যে যখন জামাইষষ্ঠী চলছে, তখন কেউ হাফ জামাই সেজে পদবী ত্যাগ করছেন, কেউ সম্পত্তি ত্যাগ করছেন।’

আদতে এ সব কাজকর্ম অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা বলে মনে করেন তিনি। বিজেপি থেকে শোভন-বৈশাখীকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করে কুণাল বলেন, ‘একসময় এদের মুখে শোনা যাচ্ছিল ঘরে ঘরে পদ্ম, দিদিমণি জব্দ। আর এখন তাড়িয়ে দিল পদ্ম, ফুলটুসি জব্দ।’

আরও পড়ুন: সাত দিনের মধ্যে ছাড়তে হবে গোলাপার্কের ফ্ল্যাট, শোভনকে নোটিস দিলেন রত্নার ভাই

মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ফের নতুন করে দলবদলের হাওয়া। আর সেই হাওয়ায় শোভন-বৈশাখীর নাম শোনা যাচ্ছে না, এমনটা নয়। সম্প্রতি মাতৃবিয়োগের সমবেদনা জানাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত যে সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এমনটাই মনে করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এরা বড় বড় কথা বলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে উৎখাত করাই নাকি ছিল এদের উদ্দেশ্য।’ একসময় বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘নাড্ডা জি, কৈলাশ জি বলে যাঁরা কথা বলতেন, তাঁরা আজ সুব্রত বক্সি দা, ববি দা, পার্থ দাদের ডাকছেন। জি থেকে দাদায় ফিরে এসেছেন।’