কলকাতা : “সামগ্রিকভাবে যে পুলিশ ভাল কাজ করছে, তার প্রমাণ হল সারা ভারতে নিরাপদতম শহর কলকাতা।” বাগুইআটি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন কাঁটা-ছেঁড়া চলছে, ঠিক সেই সময়ে এই কথা শোনা গেল শাসক দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলায়। যে ঘটনা ঘটেছে, তা খারাপ… সে কথা স্বীকার করে নিয়েও কুণাল বাবু বলেন, “এই পুলিশ, এই প্রশাসন, এই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই তো কলকাতা শহর গোটা দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহর হয়ে রয়েছে। এটাই বা কীভাবে অস্বীকার করা যায়।” মুখ্যমন্ত্রী ধমক দেওয়ার পরই এই তৎপরতা… তাহলে আগে কেন হল না? সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, “একেবারে প্রথম দিকে আরও তৎপরতা কেন হয়নি? এই নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার অবকাশ আছে বলেই তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, “যে ঘটনা ঘটেছে তা খারাপ। কিন্তু খারাপ ঘটনা কমছে এবং এর মধ্যে রাজনীতি নেই। এই ঘটনা যাতে একদম না ঘটে, সেই চেষ্টা চলছে। কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ করতে চলেছে, কোন অভিপ্রায়ে, তা জানার মেকানিজম এখনও তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে যতটা তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন কাজ করা যায়, তা করছে। সেই ফলটা আসছে বলেই কলকাতা নিরাপদতম শহর। কিন্তু আত্মসন্তুষ্টির অবকাশ নেই। বাগুইআটির ঘটনা ঘটেছে।”
কুণাল ঘোষ অন্যান্য শহরগুলির সঙ্গে অপরাধের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “একটাও হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কলকাতা শহরে ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত ১১ টি। দিল্লিতে তা ১২২৬। নিরাপদতম শহর কলকাতা। কোন ব্যক্তি, কার সঙ্গে, কোন অপরাধ করছে, এটি জানার তো কোনও আগাম মেকানিজম নেই। তা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন কলকাতাকে সারা দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহরের স্থান পাইয়ে দিয়েছে। এটি ইতিবাচক। আবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও যেগুলি হচ্ছে, তা নিন্দনীয়। আত্মসমালোচনার জায়গা আছে। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদের সমালোচনা করার অধিকার নেই।”