কলকাতা : বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মামলা করার পর নতুন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুলি’ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবারই ওই মন্তব্য নিয়ে এফআইআর করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সুকান্ত। আর এরপরই সুকান্তকে তাঁর দলের নেতাদের মন্তব্য মনে করালেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর ব্যাখ্যা গুলি করার নিদান দেননি অভিষেক।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, সুকান্ত একটি মামলা করেছেন শুনেছি। ভুলে গিয়েছেন, আপনার দলের নেতা সায়ন্তন বসু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলেছিলেন, বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন? আপনার দলের দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ওপর থেকে ৬ ইঞ্চি নামিয়ে দেব, শেষকৃত্য করার লোক পাবেন না। অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন- গোলি মারো। আপনার দলের নেতাদের কথা ভুলে গেলেন?
কুণালের দাবি,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সংযমকে মান্যতা দিতে চেয়েছেন। কুণাল ঘোষ অভিষেকের মন্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, ‘বাম জমানায় গুলি করে মানুষকে মেরে দিত পুলিশ। বিজেপি রাজ্যগুলিতে গুলি চলছে। কিন্তু অভিষেক সংযম আর সহিষ্ণুতাকে স্যালুট করেছেন, গুলি চালানোর নিদান দেননি।’
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য জুড়ে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। আহত হন বহু বিজেপি কর্মী, আহত হন পুলিশ অধিকারিকও। ঘটনার পরের দিন এসএসকেএম হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি স্যালুট করি, যে আপনারা কিছু করেননি। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হত, তাহলে আমি মাথার ওপরে শুট করতাম।’
ঘটনার পর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, অভিষেক ওই মন্তব্য করার পর বিজেপি কর্মীরা থানায় এফআইআর করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু এফআইআর নেয়নি পুলিশ। যাতে এফআইআর নেওয়া হয়, সেই আবেদনই এ দিন আদালতে জানানো হয়েছে। আবেদন গৃহীত হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।