কলকাতা : মেনকা গম্ভীরের করার মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁকে কেন কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিনই সেই মামলার শুনানি হয়। শুক্রবার রায়দান হবে।
আদালতের নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও কেন বিদেশ সফরে বাধা দেওয়া হল মেনকাকে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে আইনজীবী এসভি রাজু উল্লেখ করেন, যদি মেনকা গম্ভীরকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয়নি। এটা ইচ্ছাকৃত নয়। তাই এটা আদালত অবমাননার নয় অভিযোগ নয়, হয়রানির অভিযোগ হতে পারে।
৩০ অগস্ট বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তার আগে কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে আদালত থেকে রক্ষাকবচও পান মেনকা। বিদেশ সফর করা যাবে না এমন কোনও নির্দেশ ছিল না।
যদিও ইডি আগেই আদালতে দাবি করেছে, বিদেশ সফরে বাধা দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল না। শুধুমাত্র নোটিস দেওয়া হয়েছিল মেনকাকে। এ ছাড়া মেনকার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছে ইডি।
কয়লা-কাণ্ডে ইডি-র নজরে রয়েছেন শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতা। রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা ও শ্যালিকা মেনকার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল তাঁদের। অভিষেক হাজিরা দিলেও দিল্লি যেতে রাজি ছিলেন না রুজিরা ও মেনকা। পরে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির মুখোমুখি হন রুজিরা।