কলকাতা: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার। এই আমলা তিন বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন। এ দিকে, জহর সরকার ইস্তফা দিতেই তৃণমূলের উঁচু-মাঝারি একাংশ নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য কটাক্ষ করেছেন। তেমনই জহরবাবুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আরও এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই পরিস্থিতিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রব উঠল ‘কুণাল ঘোষকে আবার রাজ্য সভায় দেখতে চাই’
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এরপর রাজ্যসভায় তাঁকে সাংসদ করেও পাঠানো হয়। এখন যদিও স্রেফ তৃণমূল নেতাই তিনি। আর জহর সরকার পদ ছাড়তেই এবার তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের দাবি, কুণালকেই রাজ্যসভায় পাঠানো হোক।
কেউ ফেসবুকে জহর সরকারকে ‘দু’দিনের ক্রাইসিস’ ম্যানেজার কটাক্ষ করে লিখেছেন ‘কুণালদাকে রাজ্যসভায় চাই’ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন ‘গত তিন বছরে জহরবাবু দলের জন্য কী করেছেন?’ তাঁদের মনে হয়েছে, ‘দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাতের পরও দলের প্রতি আনুগত্য হারাননি কুণাল। তাই রাজ্যসভায় তাঁকেই পাঠানো হোক।’ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তিলোত্তমা কাণ্ডের জেরেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সাংসদ নির্বাচিত করে আপনি আমাকে প্রভূত সম্মানীত করেছেন। বিভিন্ন সমস্যা সরকারের দৃষ্টিগোচর করবার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করব। রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করব।’ যদিও, জহরের এই পদত্যাগকে তাঁর ব্যক্তিগত মত হিসাবেই উল্লেখ করেছেন কুণাল।
উল্লেখ্য, সারদা কাণ্ডে কুণাল সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিন পেয়ে ফেরত এলেও তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমেনি তৃণমূলের। ২০২১ সালে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছিল তাঁকে। ছিলেন মুখপাত্র। তবে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের সময় তাপস রায় যখন দলবদল করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় একটি রক্তদান শিবিরে দুই নেতাকে এক একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। এমনকী, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক-বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর তৃণমূল মুখপাত্রের পদ চলে যায় তাঁর। তবে কুণাল থেকে গিয়েছেন তৃণমূলেই। মানিকতলা উপভোটে বড় জয়ের পর সমন্বয় কমিটির কনভেনর পদে মেয়াদ বাড়ে কুণাল ঘোষের।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)