Kunal Ghosh: ‘বিজেপি পার্টি অফিসে স্ক্রিন টাঙিয়ে বলা হয়েছিল গ্রেফতার করো, সেই শুভেন্দু এখন…’

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 28, 2022 | 3:51 PM

Kunal Ghosh: গোটা বিষয়টি রাজ্যপালের সঙ্গে সামনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "যারা পলিসি মেকার, যাদের প্রভাব রয়েছে সিবিআই- ইডির ওপর। সিবিআই-ইডিতে অনেক ভালো অফিসার রয়েছেন।"

Kunal Ghosh: বিজেপি পার্টি অফিসে স্ক্রিন টাঙিয়ে বলা হয়েছিল গ্রেফতার করো, সেই শুভেন্দু এখন...
কুণাল ঘোষ বনাম শুভেন্দু অধিকারী

Follow Us

কলকাতা: “বিজেপি যেন ওয়াশিং মেশিন। শুভেন্দু টাকা নিলে বিজেপি পার্টি অফিসে স্ক্রিন খাটিয়ে বলা হচ্ছে গ্রেফতার করো, তিনিই যখন বিজেপিতে চলে গেলেন, তখন বলছেন সিবিআই-এর উচিত ওকে ধরে আনা, ইডি উচিত তাকে ধরে আনা।” সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে রাজ্য়পাল-সাক্ষাতের পর বেরিয়ে বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কুণাল ঘোষ ছাড়াও ছিলেন তাপস রাস, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষরা।

রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাকিদদের মুখোমুখি হন তাঁরা। কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। যারা বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে, তাঁদেরকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে।”

সারদা মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কুণাল বলেন, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের আদালতকে দেওয়া লিখিত বিবৃতি, যেটার বিচার তিনি বিভিন্ন জায়গায় চেয়েছেন। ২০২০ ও ২০২২ সালের বিবৃতিতে দেখা যাচ্ছে, যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সিবিআই গ্রেফতার করছে না।” তাঁর সংযোজন, “এর আগেও সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে এমন লোকের নাম ছিল, যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বেঁচেছেন। একই মামলায় তৃণমূল নেতাদের ধরে আনে সিবিআই, কিন্তু যে কক্যামেরার সামনে কাগজে মুড়ে নিল শুভেন্দু অধিকারী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয় না।”

গোটা বিষয়টি রাজ্যপালের সঙ্গে সামনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “যারা পলিসি মেকার, যাদের প্রভাব রয়েছে সিবিআই- ইডির ওপর। সিবিআই-ইডিতে অনেক ভালো অফিসার রয়েছেন।” এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপিটা যেন ওয়াশিং মেশিন। শুভেন্দু টাকা নিলে বিজেপি পার্টি অফিসে স্ক্রিন খাটিয়ে বলা হচ্ছে গ্রেফতার করো, তিনিই যখন বিজেপিতে চলে গেলেন, তিনিই বলছেন সিবিআই-এর উচিত ওকে ধরে আনা, ইডি উচিত তাকে ধরে আনা। এখন বলছে ২৪ সালে সরকার ফেলে দেবো। তার মানে রাষ্ট্র বিরোধী চক্রান্ত করছে বিজেপি।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করে সিবিআই। সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাঁচ নেতার নাম করে বলেন, এঁরা তার থেকে টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে আছে শুভেন্দুর নামও। এরই মধ্যে অবশ্য রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই ওলটপালট হয়েছে। একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন।

Next Article