Kunal Ghosh On Partha Chatterjee: ‘যে সময়ের দুর্নীতি আর যে সময়ের নোট, সেগুলি মিলিয়ে তদন্ত করুক ইডি’, পার্থ ইস্যুতে কুণাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 24, 2022 | 2:35 PM

Kunal Ghosh On Partha Chatterjee: "যদি ২০১৪ সালের কেস হত, তাহলে নিশ্চয় ওই সময়ের টাকা দিয়ে থাকবে। সেটা নোটবন্দির আগের। তাহলে তখন এই নতুন নোট এল কী করে?"

Kunal Ghosh On Partha Chatterjee: যে সময়ের দুর্নীতি আর যে সময়ের নোট, সেগুলি মিলিয়ে তদন্ত করুক ইডি, পার্থ ইস্যুতে কুণাল
কুণাল ঘোষ

Follow Us

কলকাতা: “যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, আর নোটগুলি যে সময়ের, তা কি আদৌ মিলছে? এর তদন্ত হোক।” শনিবার পর রবিবার। ফের সাংবাদিক বৈঠক করে নয়া প্রশ্নের উত্থাপন করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ২০১৩-১৪ সালে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপর নোটবন্দি। তাহলে নোটবন্দির পর এত নোট এল কোথা থেকে? বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর ২০১৭সালের গোড়ার দিকে ২ হাজার নোট বাজারে এসেছে। তাহলে উদ্ধার হওয়া এত টাকা কীভাবে ২ হাজারের নোট হতে পারে? তৃণমূল সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন তুলছে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফে একই প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর প্রশ্ন, “যে নোট দেখা যাচ্ছে, তা নোট বন্দির পরের নতুন নোট। যদি ২০১৪ সালের কেস হত, তাহলে নিশ্চয় ওই সময়ের টাকা দিয়ে থাকবে। সেটা নোটবন্দির আগের। তাহলে তখন এই নতুন নোট এল কী করে?”

কুণাল ঘোষ পার্থ ইস্যুতে দ্বিতীয় দিনের সাংবাদিক বৈঠকেও বলেন, “আদালতে যদি তদন্তকারীরা এমন কোনও তথ্য দেন, আদালত সেই তথ্য প্রমাণকে যদি মান্যতা দেয়, তাহলে যত বড় নেতাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আমরা টাইম বাউন্ড ইনভেস্টিগেশন দাবি করছি। সারদা-নারদার মতো তদন্ত, চলছে তো চলছেই, এমনটা যেন না হয়।”

কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, তিনি আজকে বলেছেন, ওই টাকা তৃণমূলের! আজব কথা! আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ওই টাকার সঙ্গে যদি তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁদের নাম আসছে, তাঁদের দায় ও দায়িত্ব এর জবাব দেওয়ার। তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে কোনও অন্যায় কাজ করতে বলেনি।”

কুণাল ঘোষ বাম আমলের দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আইকোরের অনুকূল মাইতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গলায় যখন উত্তরীয় পরাচ্ছিলেন, আর মহম্মদ সেলিম যখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই ছবি কী প্রমাণ করে? তার মানে বুদ্ধবাবু ও সেলিম আইকোর দ্বারা লালিতপালিত নাকি সিপিএম আইকোরের টাকায় লালিতপালিত?”

তাঁর সংযোজন, “বেঙ্গল ল্যাম্প কেলেঙ্কারি, ট্রেজারি কেলেঙ্কারি একের পর এক কেলেঙ্কারি বাম জমানায়। বুদ্ধবাবু বলেছিলেন চোরেদের মন্ত্রিসভায় থাকি না। ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। বিনয় চৌধুরী বলেছিলেন ঠিকাদারকে সরকার। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন বাম জমানায়। ত্রিপুরার বাম সরকার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে।”

কুণাল আবারও বলেন, “বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু এই এজেন্সি তো বিজেপি নেতাদের আইনের পথে আনছেই না। চলবে কী করে?”

Next Article