Kunal Ghosh: ‘চাকরি দুর্নীতিতে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এখনও মন্ত্রিসভায়’, ফের বোমা কুণালের

Kunal Ghosh: কুণালের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে।  বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, "এই সব ন্যাকা ন্যাকা কথার মানে কী রয়েছে। তুমি যখন এখন বিবেগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছো, তাহলে আসল সত্যিটা মুখ খুলে বলছো না কেন?"

Kunal Ghosh: 'চাকরি দুর্নীতিতে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এখনও মন্ত্রিসভায়', ফের বোমা কুণালের
কার দিকে ইঙ্গিত কুণালের?Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2024 | 4:28 PM

কলকাতা:   চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কথা শুনতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদেরও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছে। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে তপ্ত রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধি হিসাবে কুণাল ঘোষকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল। এবার শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। আর তারপরই TV9 বাংলার সামনে আবারও বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করলেন, সে সময়ে তাঁর কাছে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল, তিনি এখনও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। সদ্য পদ খুইয়ে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন কুণাল, তা নিয়েই এখন জল্পনা।

কুণাল বলেন, “চাকরি নিয়ে খারাপ কিছু ঘটনা ঘটেছে। যদি সঠিক সময়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টা মানবিকভাবে দেখে এত সময়ে রাস্তায় বসিয়ে না রেখে যথাযথ হস্তক্ষেপ করা যেত, তাহলে জল এত দূর গড়াত না।” তিনি বলেন, “দলের এক জন কর্মী হিসাবে আমার মনে হয়েছে, এই ইস্যুটা জীবন্ত, এই ইস্যুটার জন্য আমাদের দলের ক্ষতি হচ্ছে, এই ইস্যুটা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু ফেল করেছিলাম। আগেই নেওয়া উচিত ছিল।” তারপরই তিনি বলেন, ” সেই সময়ে আমার কাছে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গিয়েছিল, ঘটনাচক্রে তিনি আজ মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।”

কুণালের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে।  বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “এই সব ন্যাকা ন্যাকা কথার মানে কী রয়েছে। তুমি যখন এখন বিবেগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছো, তাহলে আসল সত্যিটা মুখ খুলে বলছো না কেন?”

সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের এই ধরনের কথার কোনও মানে হয় না। আজ এরকম কথা, কাল অন্যরকম।” চাকরিপ্রার্থীদের মামলাকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও কার্যত সে কথাই বলেছেন। অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দিয়েছেন এক অন্য ব্যাখ্যা। তাঁর মতে, “মানিকতলার নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল অন্দরে যে অভ্যন্তরীণ রসায়ন তৈরি হয়েছিল, এটা তারই ফলাফল। এই নিয়ে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই।”

বুধবার সকালে একটি রক্তদান শিবিরে কলকাতা উত্তর বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে বেশ কয়েকটি কথা, আর জনসংযোগ প্রসঙ্গে নিজের দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার করার অব্যবহিত পরই দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন কুণাল। কাল তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন সুইচ অফ ছিল তাঁর। কিন্তু তারপরই প্রকাশ্যে এসে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন কুণাল।