কলকাতা: ‘সকালে তাপস দা-র বাড়ি গেলাম… তারপর খিদে পেয়েছিল, খেলাম। তারপর গাড়িতে উঠে গান শুনলাম।’ তৃণমূল যে শোকজ লেটার পাঠাল সেটা কি পড়লেন? তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বললেন, ‘না পড়া হয়নি। গান শুনছিলাম।’ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তাঁকে শোকজ লেটার পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সকাল থেকেই এই খবর নিয়ে চর্চা চলছে। তিনি যখন তাপস রায়ের বাড়িতে বসেছিলেন, সেই সময়ই ওই চিঠি তাঁর কাছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সে সব নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই কুণালের চোখে-মুখে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোকজ সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি গেয়ে উঠলেন মহম্মদ রফির গান ‘ইয়ে মেরা প্রেমপত্র পড় কর কে তুম নারাজ না হো না।’ উল্লেখ্য, এর আগে শোকজ নিয়ে যখন জল্পনা ছিল, তখন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘দলের তরফে শোকজ করা হলে, সেটা প্রেমপত্র হিসেবে গ্রহণ করব।’
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ‘শোকজ নিয়ে কী বলবেন?’ কুণাল বলেন, ‘যাঁরা করেছেন, তাঁরাই কারণ বলতে পারবেন। আমি দলের সম্পর্কে কোনও কথা বলব না। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ হোয়াটসঅ্যাপে এল চিঠিটা? আবারও ধোঁয়াশা মাখা কুণালের জবাব, ‘হোয়াটসঅ্যাপ যদি খোলা থাকে, তাহলে অনেক কিছুই আসে।’ ‘আপনি কি পড়েছেন?’ কুণাল বলেন, ‘পড়ব নিশ্চয় সময় হলে। পড়া হয়নি, আমি গান শুনছিলাম। কোনও টেনশন মাথায় রাখছি না।
ঠিক কোন গানটা শুনছিলেন কুণাল? সেটাও সাংবাদিকদের গেয়ে শোনান কুণাল ঘোষ। গেয়ে ওঠেন, ‘ইয়ে মেরা প্রেমপত্র পড় কর কে তুম নারাজ না হো না। কি তুম মেরে জিন্দেগি হো, কি তুম মেরে বন্দেগি হো।’ হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজ কি সত্যিই পড়েননি কুণাল ঘোষ? সদ্য মুখপাত্র পদে ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল নেতা বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপে অনেক মেসেজে এসেছে। আমার পুরনো বান্ধবীও আজ মেসেজ করেছেন। জানি, কোনও একটা নম্বর থেকে কিছু একটা এসেছে।” তবে সেটা পড়া হয়নি বলেই দাবি কুণালের। তিনি শুধু জানিয়েছেন, দলের একজন কর্মী ও একজন সমর্থক হিসেবে তিনি ভালই আছেন, আরামেই আছেন।