কলকাতা: কীভাবে OMR Sheet-এ গরমিল হত? তাতেও রয়েছে চরম নাটকীয়তা। এবার মানিক ভট্টাচার্যের জামিন মামলার শুনানির সময়ে আদালতে জানাল ইডি। নির্দিষ্ট দুটি প্রশ্ন ও তার উত্তরে ডট মার্ক। ডট মার্ক দেখেই বোঝা যেত সুপারিশ। তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে ইডির। কুন্তল ঘোষকে জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, চাকরি জন্য যে সমস্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত, তাঁদের নির্দিষ্ট করে ২টি প্রশ্ন বলে দেওয়া হত। ইডির বক্তব্য, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে কুন্তল জেরা জানিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের নির্দিষ্ট দুটি প্রশ্ন জানিয়ে দেওয়া হত। OMR শিটে সেই দুটি প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা কেবল ডট্ মার্ক দেবেন। অন্যান্য প্রশ্নগুলিতে তাঁরা পেনের ছোঁয়াটুকুও দেবেন না। কেবল সংশ্লিষ্ট দুটি উত্তরের ক্ষেত্রে তাঁরা ডট্ মার্ক দেবেন। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা দুটি প্রশ্নেই কেবল ডট্ মার্ক দিচ্ছেন, তাঁদেরকে পরবর্তীকালে চিহ্নিত করা হত। এরপর সেই ওএমআর শিটগুলোকে খুঁজে বার করা হত। বুঝে যেতেন, এই চাকরিপ্রার্থীরাই সুপারিশ নিয়ে এসেছেন। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা আগেই পুরো টাকা মিটিয়ে দিতেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করা হত।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। বুধবার মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। তিনি তখন বিচারকের সামনে সওয়াল করেন, বাংলা আগে শিক্ষার উৎকর্ষকেন্দ্র ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে, তা খুনের সামিল। অযোগ্যরাই শিক্ষকতা করছেন। বুধবার বিচারকের সামনে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী।