Lake Gardens Clash: সিন্ডিকেটের মদতদাতা কে? সৌগত রায়ের বাড়ির পাশে সংঘর্ষের নেপথ্যে দলেরই দুই প্রভাবশালী নেতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 19, 2022 | 1:35 PM

Lake Gardens Clash: বেহালার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ি সেখানে। ঠিক তার দু-তিনটে বাড়ির পরই সেই তিন তলা বাড়ি।

Lake Gardens Clash: সিন্ডিকেটের মদতদাতা কে? সৌগত রায়ের বাড়ির পাশে সংঘর্ষের নেপথ্যে দলেরই দুই প্রভাবশালী নেতা?
সিন্ডিকেট রাজের নেপথ্যে কে?

Follow Us

কলকাতা: শাসকদলের সাংসদ সৌগত রায়ের লেকগার্ডেন্সের বাড়ির পাশেই সিন্ডিকেট রাজ। এই ইস্যুতেই তুলকালাম। সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার থেকেই তপ্ত এলাকা। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড, ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। কারোর মাথা ফাটে, কারোর হাত ভাঙে। দফায় দফায় হয় হামলা। ঘটনার সূত্রপাত, এলাকার একটি তিন তলার বাড়ির নির্মাণ ঘিরে। ওই বাড়িরই প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। কিন্তু স্থানীয়. বাসিন্দাদেরই প্রশ্ন, সিন্ডিকেটে মদতদাতা কে?

কী নিয়ে সংঘর্ষ?

বেহালার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ি সেখানে। ঠিক তার দু-তিনটে বাড়ির পরই সেই তিন তলা বাড়ি। আর তা নিয়েই যত বিবাদ। এই বাড়িটি ভেঙে সেখানে বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। সেই বাড়ির প্রোমোটিং নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। বাড়ি ভাঙার ঠিকা নিয়ে এলাকার বাসিন্দা বাসু ও ঝন্টু নামে দু’জন প্রভাবশালীর মধ্যে বচসা হয়। আর সেই দুজনই এলাকায় আবার তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত।

নেপথ্যে তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী নেতা

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাসু ও ঝন্টু পার্টনারশিপে বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলেন। দুপক্ষই অভিযোগ করছিল, বাড়ি ভাঙার পর দরজা, জানলা, লোহার রড সবই রাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দুজনই একে অপরের দিকে আঙুল তুলছিল। ওই বাড়ির সামনে শেষমেশ বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। সোমবার বাড়ির ভাঙার সামগ্রী বিক্রির লভ্যাংশ নিয়েই দুপক্ষের ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে। দুপক্ষের মধ্যেই মারপিট শুরু হয়। পরবর্তী কালে দেখা যায়, নিজে সৌগত রায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলান। লেকগার্নেন্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওসিকে ফোন করেন।

কী বলছেন তৃণমূল সাংসদ?

এর আগে এই ধরনের ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। কিন্তু একটা বিষয় এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে দুজনের নাম এক্ষেত্রে উঠে আসছে, অর্থাৎ সেই বাসু ও ঝন্টুর মাথার ওপর হাত রয়েছে দুই প্রভাবশালী নেতার। এক জনের নাম রতন দে, যিনি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর। অপরজন হলেন বিজয় দত্ত। সোমবারই ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন দে-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, অভিযুক্তরা সকলেই কি তৃণমূল কর্মী সমর্থক? তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন, ‘সবাই তৃণমূল সমর্থক, সবাই অনুগত…’ কিন্তু তিনিও অভিযুক্তদের প্রত্যেককে চেনেই না বলে জানিয়েছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন সৌগত রায়, “আমার সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের কথা হয়েছে। সব ওকে বলেছি। কাউন্সিলর আর স্থানীয় নেতৃত্বকে ডেকে যাতে কথা বলে, সেটা বলেছি। এই রকম ঘটনা যাতে না ঘটে। আজ সকালেই আমার কাছে রতন দে এসেছিলেন। ওঁ বলেছেন, যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি ঠিক হলে, কর্মীদের নিয়ে একটি মিটিং করার কথা ভাবা হচ্ছে, সাংসদ নিজেও থাকবেন। যাতে কেউ সিন্ডিকেট না চালান, তা নিয়ে সতর্ক করা হবে বলে জানান সাংসদ।

স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলরের বক্তব্য

এলাকার কাউন্সিলর রতন দে বলেন, “সৌগত রায় আমাদের অভিভাবকের মতো। আমি পরামর্শ নিয়েছি। যাতে আগামী দিনে এই ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ঝন্টু ও বাসুও রয়েছে।

আরও পড়ুন: HC On Physical Assault Case: ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ৫ টি কেসে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

Next Article