কলকাতা: রাজ্যর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট (Students’ Union Election) দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে। কোভিডের কারণে সময়মতো ভোট করানো সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট এখনও করানো হয়নি। এই নিয়ে অসন্তোষ জমছিল ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) চিত্রও তার ব্যতিক্রম নয়। লাগাতার চাপের মুখে এবার রাজ্য সরকারের কোর্টেই বল ঠেলল প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্য সরকারের থেকে বিজ্ঞপ্তি পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবার ছাত্রভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর করোনা কাল কাটিয়ে উঠলেও এখনও ভোট না হওয়ায় প্রেসিডেন্সির বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলি আন্দোলনের পথে নেমেছে। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, রাজ্যে ছাত্র ভোট করানোর বিষয়ে কিছুদিন আগেই নিজের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদী ব্রাত্য বলেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন।
সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ছাত্রভোটের কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না। জবাবে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, তিনি এই বিষয়ে আশাবাদী। তবে একইসঙ্গে ব্রাত্য বসু এও জানিয়েছিলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর নির্ভর করে না। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘অতিমারীর প্রভাব এখনও পুরোটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। কবে নির্বাচন হবে, সেটি শিক্ষা দফতর ও স্বাস্থ্য দফতর যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।’
এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ছাত্রভোট প্রসঙ্গে এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সময়েও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। পোস্টার দেখানো হয়েছিল সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন। এমন অবস্থায় ছাত্র ভোটের বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোর্টেই বল ঠেলল প্রেসিডেন্সি।