কলকাতা : পরপর ৯ বার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তল করা হয়েছিল তাঁকে। বারবারই তিনি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁর পক্ষে সিবিআই দফতরে যাওয়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করলেন, চুপ করে থাকা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কেউ চাইলে কিছু নাও বলতে পারেন।
অনুব্রতর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এ দিন বলেন, ‘গ্রেফতার তো হওয়ারই ছিল। কিন্তু চুপ করে থাকা সাংবিধানিক অধিকার।’ কেউ চাইলে কিছু নাও বলতে পারেন। প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত কি সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখে কিছু বলতে বাধ্য নন?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অনুব্রত বারবার তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন বলেই তাঁকেই এ ভাবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। কলকাতায় সিবিআই অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য ৯ বার নোটিস দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। তিনি মাত্র একবারই হাজিরা দিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর কখনও নিজাম প্যালেসে যাননি।
গত সোমবার ও বুধবারও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। বুধবার সারাদিন বোলপুরের বাড়ি থেকে বেরোননি তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। এ দিন তাঁকে দুর্গাপুরের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
গরু পাচার মামলায় অনেক আগেই সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগেই। তাঁকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই-এর পেশ করা চার্জশিটে এমন কিছু সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে, যা রয়েছে অনুব্রতর আত্মীয়দের নামে।