কলকাতা: কখনও পুলিশের উপর আক্রমণ, কখনও সাংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপর হামলা। ঝরল রক্ত। একের পর এক এল খুনের অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, অশান্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে শাসকদলই। মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে এই ছবিই দেখা গেল রাজ্যের নানা প্রান্তে। অশান্তির আবহেই নির্বাচন কমিশনে ছুটল সিপিএম, আইএসএফ, বিজেপি (BJP)। দেখা গেল বিমান বসু, নওশাদ সিদ্দিকীকে। ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কমিশনের বিরুদ্ধে। “ভোটের দিন অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারবে তো? নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করতে পারবে তো?” নির্বাচন কমিশনের বাইরে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন তুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Left Front Chairman Biman Bose )। কমিশনের অফিসের সামনেই একদিকে বাম, আইএসএফের বিক্ষোভ অবস্থান চলল। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আহতদের নিয়ে বিজেপিও হাজির কমিশনে (Election Commission)। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে রইল কমিশনের বাইরের রাস্তা।
রাজ্য়ের নানা প্রান্তের অশান্তির ঘটনা নিয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনে স্মারক লিপি জমা দেয় বামেরা। তার আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় বিমানকে। কথা চলে কানে কানেও। এরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিমান বলেন, “নির্বাচন কমিশনারের হাত-পা বাঁধা আমরা জানি। সবটা জেনে বুঝেই আজ কথা বলেছি। তাঁকে আমরা বলতে চেয়েছি যে আপনাকে আপনার চেয়ারের মর্যাদা রাখতে হবে। এখন গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের আওতায়। কিন্তু, সেই মতো কাজ হচ্ছে না। আজকেও ভাঙড়ে একজন আইএসএফের কর্মী খুন হয়েছেন। মনোনয়ন জমা শুরু হতেই মুর্শিদাবাদে খুন হয়ে গিয়েছিলেন এক কংগ্রেস কর্মী। আজকে দুজন সিপিআইএমের কর্মী চোপড়াতে খুন হয়েছেন। মনোনয়ন পর্বেই একের পর এক খুন।”
এরপরই কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিমান বলেন, “এখন তো মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্য়াপার আছে, প্রচার পর্বও চলবে, তারপর তো ভোট। ভোটের দিন অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারবে তো? নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করতে পারবে তো? এই কথাগুলিই আমরা বলেছি। আমাদের কথা শুনে কমিশনার বললেন আমরা দেখব। এখন যদি কেউ চোখে ঠুলি পড়ে থাকে, কানে যদি তুলো দিয়ে থাকে, তাহলে দেখাটা একটু অসুবিধা হয়।” প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে গোটা রাজ্যে। ফল ১১ জুলাই। আগামী ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।