কলকাতা: সংযুক্ত মোর্চা অটুট রেখেই কি উপনির্বাচনে লড়বে বামেরা? নাকি এবার ‘একলা চলো’র নীতি? সূত্রের খবর, এরকমই একাধিক বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসছে বামেরা। একইসঙ্গে সেই বৈঠকে উঠে আসার কথা ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দেশ ব্যাপী ধর্মঘটে এ রাজ্যে বামফ্রন্টের ভূমিকা কী হবে।
আগামী উপনির্বাচনে কী হবে বামফ্রন্টের রণকৌশল? সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোটে তাদের রণকৌশলই বা কী হবে! কংগ্রেস নেতৃত্বকে প্রচারে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, বামফ্রন্ট নেতৃত্বই বা কী ভাবে প্রচার করবে? আইএসএফকে কি প্রচারে ব্যবহার করা হবে? হলে কতটা ব্যবহার করা হবে? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, আলোচনা করতে মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসবে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। একইসঙ্গে সেই বৈঠকে উঠে আসতে পারে ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দেশ ব্যাপী ধর্মঘটে এ রাজ্যে কী হবে বামফ্রন্টের ভূমিকা? তা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে এ রাজ্যের কী ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের জনস্বার্থ বিরোধী ভূমিকা নিয়ে আন্দোলন নিয়েও বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ রাজ্যের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচন ও ভবানীপুরের উপনির্বাচন রয়েছে। সামশেরগঞ্জে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআইএম, জঙ্গিপুরে আরএসপি। অন্যদিকে ভবানীপুরে প্রার্থী দেবে বলে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটিকে জানিয়েছে দল। সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এগোবে তারা। যদি কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেয় তা হলে হয়ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের ভূমিকা কী হবে সেটাই দেখার।
কারণ, এ রাজ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই সংযুক্ত মোর্চার অস্তিত্ব নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। আইএসএফকে নিয়ে আদৌ এগোনো যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের একাধিক বৈঠকে। জোটের জোর কতটা তাও প্রশ্নের মুখে। ফলে এই অবস্থায় উপনির্বাচন কিংবা দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনে প্রচার কী ভাবে হবে, কংগ্রেসের এই প্রচারে কতটা ভূমিকা থাকবে, নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফকে আদৌ ডাকা হবে কি না সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
পাশাপাশি ২৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে সংযুক্ত কিসান মোর্চা নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেখানে এ রাজ্যের বামেদের ভূমিকা কী হবে বা কেন্দ্র-রাজ্যের যে ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে বামফ্রন্ট মূলত ময়দানে নামবে, সেই প্রতিবাদের রূপরেখা কী হবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অবশ্যই এই বৈঠকে অগ্রাধিকার পেতে পারে ৩০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের বিষয়টি। সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় এই ভোটে যদি কিছুটা ভাল ফল করা যায়, যদি কিছুটা ভেসে ওঠা যায়, এই ভোটে সে চেষ্টাও করবে বামেরা। আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে কান্দিতে সিবিআই