Haridevpur Electrocution: হরিদেবপুর কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ ফিরহাদের, সাসপেন্ড আলো বিভাগের দুই ‘বড় কর্তা’

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 06, 2022 | 5:11 PM

Haridevpur Electrocution: এর আগে ফিরহাদের ওই কড়া বার্তার পরেই সাসপেনশন নিয়ে শোনা যাচ্ছিল নানা জল্পনা। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের উপর উপর খাঁড়া নামতে পারে তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।

Haridevpur Electrocution: হরিদেবপুর কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ ফিরহাদের, সাসপেন্ড আলো বিভাগের দুই ‘বড় কর্তা’
ছবি - কড়া পদক্ষেপ ফিরহাদের

Follow Us

কলকাতা: হরিদেবপুরে(Haridebpur) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু নিয়ে গত ২ দিন ধরেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। চাপে পড়েছে কলকাতা পৌরসভাও (Kolkata Municipality)। অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোরদার চাপানউতর। এবার হরিদেবপুর কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে সাসপেন্ড করলেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার। আলো বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিকের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। মঙ্গলবার রাতে সাপপেন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আলো বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের খবরটিও নিশ্চিত করেন তিনি। 

এদিকে এর আগে হরিদেবপুর কাণ্ডের তদন্ত করতে তৈরি হয়েছিল কমিটি। সেই কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিভাগীয় তদন্ত এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রক। একইসঙ্গে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়তে চলেছেন আলো বিভাগের ডিজি। এ খবর নিয়েই বর্তমানে কলকাতার প্রশাসনিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। প্রসঙ্গত, এর আগেই সিইএসসির নিজেদের বাতিস্তম্ভ এবং মিটার বক্সগুলির বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ফিরহাদ। তারপরেই পুর আধিকারিকদের সাফ জানিয়ে দেন অবস্থান উন্নতি হচ্ছে কি না তা এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত নিজ হাতে তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

ফিরহাদের ওই কড়া বার্তার পরেই সাসপেনশন নিয়ে শোনা যাচ্ছিল নানা জল্পনা। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের উপর উপর খাঁড়া নামতে পারে তা স্পষ্ট হচ্ছিল না। এদিকে হরিদেবপুর কান্ড নিয়ে গতকালই আবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মেয়র পরিষদ সদস্য ( নিকাশি বিভাগ) তারক সিংকে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। সোমবার তারক সিংকে বলেন, “জলজমার কারণে মৃত্যু হয়নি। লোক বলতে ভয় পায়। আমার বলতে ভয় নেই। আমি কারও পরোয়া করিনা। যদি নির্দিষ্ট সিস্টেমে চলা না হয় তাহলে এই জলের জন্য বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন আমার ওখানে ওভারহেড কোনও লাইন নেই। আমার ওখানে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন। তাহলে ওই পোস্টটায় বিদ্যুৎ গেল কী করে? তদন্ত এটা নিয়ে হওয়া উচিৎ।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে। 

Next Article