Rajarhat: মাঠে চড়ছে গরু, এটা রাজারহাটের একটি চিৎসালয়

Ranjit Dhar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 20, 2024 | 4:47 PM

Rajarhat: বস্তুত, রাজারহাটের শিকরপুর,ঝালিগাছি, কাশীনাথপুর,বাগু এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভোজেরহাট,ভাঙড় সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দু লক্ষ মানুষের একসময় ভরসা ছিল চাঁদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু এখন হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক নেই। চরম অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল।

Rajarhat: মাঠে চড়ছে গরু, এটা রাজারহাটের একটি চিৎসালয়
রাজারহাটে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কী হাল
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

রাজারহাট: স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে এবার চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একটি গোটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেন পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে।

রাজারহাট ব্লকের চাঁদপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রায় ৮ বিঘা জায়গা জুড়ে রয়েছে এই হাসপাতালটি। সেখানে রয়েছেন একজন চিকিৎসক। তিনি আবার এক সপ্তাহে মাত্র দু’দিন অথবা তিনদিন হাসপাতালে আসেন। হাসপাতলের গুদাম ঘরে রয়েছে প্যাকিং করা অবস্থায় একাধিক বেড। রয়েছে চিকিৎসা পরিষেবার একাধিক যন্ত্রাংশ। স্থানীয়দের দাবি এতকিছুর পরও তা ব্যবহার করা হয় না। রয়েছে হাসপাতালের কর্মচারীদের থাকার একাধিক বিল্ডিং। তবে তা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে। দিনের বেলা হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায় গরু,ছাগল। রাত হলেই দুষ্কৃতীদের আখড়া।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই হাসপাতালের বেহাল দশা। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা পান না সাধারণ মানুষ। তাঁদের যেতে হয় রাজারহাট ব্লক হাসপাতাল রিজওয়ানি হাসপাতালে। তাও আবার সেখান থেকেও তাদের স্থানান্তর করা হয় আরজিকর হাসপাতালে। এ প্রসঙ্গে শুভময় প্রামাণিক বলেন, “যখন অফিসার আসে তখন হাসপাতাল পরিষ্কার হয়। নয়ত জঙ্গলে ঢাকা থাকে। এই টিনের চাল দীর্ঘ কত বছর ধরে জল পড়ছে বলার কথা নয়।”

বস্তুত, রাজারহাটের শিকরপুর,ঝালিগাছি, কাশীনাথপুর,বাগু এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভোজেরহাট,ভাঙড় সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দু লক্ষ মানুষের একসময় ভরসা ছিল চাঁদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু এখন হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক নেই। চরম অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল। চাঁদপুর পঞ্চায়েত প্রধান মাধবী রায় বলেন,”এর আগেও একাধিক অভিযোগ এসেছে। যখন যা প্রয়োজন তখন তাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো প্রয়োজনে নেওয়া হবে।” রাজারহাট ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার গোলাম গোসল আজম বলেন, “ডাক্তার রয়েছে। ওঁদের ক্যাম্প রয়েছে। ক্যাম্পে মাঝে মধ্যে যেতে হয়। তখন সিএইচও হিসাবে আমি কখনও কখনও নার্স ম্যাডাম আছে।”

Next Article