কলকাতা: সিপিএম-তৃণমূল জোট! সম্ভব? বঙ্গ রাজনীতির যা পূর্বাভাস তাতে লালে নীলে মিশে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চব্বিশের লক্ষে ইতিমধ্যেই কাছাকাছি আসতে শুরু করছে কংগ্রেস – তৃণমূল। বুধবার ১০ জনপথে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। এই অবস্থায় বঙ্গ সিপিএম-এর অবস্থান কী? এক কথায় দোলাচলে।
দিন কয়েক আগেই জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা বলে বিতর্কের ইন্ধন জুগিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সম্প্রতি নাম না করে তৃণমূলের সঙ্গে ‘কাজ করার’ ইচ্ছা প্রকাশ করে সেই আগুনে ঘৃত যোগ করেছেন স্বয়ং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)।
মেদিনীপুরে এক কমরেডের স্মরণ সভায় গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ছাড়া অন্য যে কোনও পার্টির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।” পলিটবুরো সদস্য ‘কমরেড বসু’র এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রন্ট (Left Front) অন্দরেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
‘রাজ্য কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি’, সত্যিই কি সম্ভব? বৃহত্তর বাম শরিকের এক শরিক সিপিআইএমএল যেমন সিপিএম-এর এই বোধদয়কে একপ্রকার স্বাগতই জানিয়েছে। লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কথায়, “জরুরি অবস্থার সময়ও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। দেরিতে হলেও সিপিএম এটা বুঝতে পেরেছে।” তবে শুধু জোটে আবদ্ধ থাকলেই হবে না, তিনি চান দেশব্যপী গণআন্দোলন। কৃষক আন্দোলন, নাগরিকত্বের প্রশ্নে আন্দোলন, মোদী বিরোধিতার এককাট্টা ও জোরাল প্রতিবাদের পক্ষেই সওয়াল দীপঙ্কর বাবুর।
এদিকে আবার চেয়ারম্যানের ‘ইচ্ছায়’ নারাজি ফ্রন্ট সদস্য ফরওয়ার্ড ব্লক। সুভাষচন্দ্র বসুর হাতে গড়া পার্টির রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জির সাফ কথা, “বিমান বসু ফ্রন্ট চেয়ারম্যান হিসেবে এ কথা বলেননি। এটা সিপিএমের মত হতে পারে। ফ্রন্টের কথা হলে ফ্রন্টে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত হত।” তাহলে ফরওয়ার্ড ব্লকের অবস্থানটা ঠিক কী? নরেন বাবুর উত্তর, “এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দু, একদিনের মধ্যেই মিটিং আছে। আলোচনার পরই মন্তব্য করব।”
শুধু শরিকই নয়, বিমান বসুর বক্তব্যে কার্যত গৃহদাহর সম্মুখীন সিপিআইএম। বর্ষীয়ান বাম নেতার দাবি নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা কখনই এক হবে না।” আরও একধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কবে লড়াই করল? বাংলায় ৩ থেকে বিজেপিকে ৭৭ করেছে তো তৃণমূলই। বিজেপির বিরুদ্ধে আমরাই একমাত্র ধারাবাহিক লড়াই করেছি, সেটাই চালিয়ে যাব।”
কলকাতা: সিপিএম-তৃণমূল জোট! সম্ভব? বঙ্গ রাজনীতির যা পূর্বাভাস তাতে লালে নীলে মিশে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চব্বিশের লক্ষে ইতিমধ্যেই কাছাকাছি আসতে শুরু করছে কংগ্রেস – তৃণমূল। বুধবার ১০ জনপথে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। এই অবস্থায় বঙ্গ সিপিএম-এর অবস্থান কী? এক কথায় দোলাচলে।
দিন কয়েক আগেই জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা বলে বিতর্কের ইন্ধন জুগিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সম্প্রতি নাম না করে তৃণমূলের সঙ্গে ‘কাজ করার’ ইচ্ছা প্রকাশ করে সেই আগুনে ঘৃত যোগ করেছেন স্বয়ং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)।
মেদিনীপুরে এক কমরেডের স্মরণ সভায় গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ছাড়া অন্য যে কোনও পার্টির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।” পলিটবুরো সদস্য ‘কমরেড বসু’র এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রন্ট (Left Front) অন্দরেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
‘রাজ্য কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি’, সত্যিই কি সম্ভব? বৃহত্তর বাম শরিকের এক শরিক সিপিআইএমএল যেমন সিপিএম-এর এই বোধদয়কে একপ্রকার স্বাগতই জানিয়েছে। লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কথায়, “জরুরি অবস্থার সময়ও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। দেরিতে হলেও সিপিএম এটা বুঝতে পেরেছে।” তবে শুধু জোটে আবদ্ধ থাকলেই হবে না, তিনি চান দেশব্যপী গণআন্দোলন। কৃষক আন্দোলন, নাগরিকত্বের প্রশ্নে আন্দোলন, মোদী বিরোধিতার এককাট্টা ও জোরাল প্রতিবাদের পক্ষেই সওয়াল দীপঙ্কর বাবুর।
এদিকে আবার চেয়ারম্যানের ‘ইচ্ছায়’ নারাজি ফ্রন্ট সদস্য ফরওয়ার্ড ব্লক। সুভাষচন্দ্র বসুর হাতে গড়া পার্টির রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জির সাফ কথা, “বিমান বসু ফ্রন্ট চেয়ারম্যান হিসেবে এ কথা বলেননি। এটা সিপিএমের মত হতে পারে। ফ্রন্টের কথা হলে ফ্রন্টে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত হত।” তাহলে ফরওয়ার্ড ব্লকের অবস্থানটা ঠিক কী? নরেন বাবুর উত্তর, “এখনও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দু, একদিনের মধ্যেই মিটিং আছে। আলোচনার পরই মন্তব্য করব।”
শুধু শরিকই নয়, বিমান বসুর বক্তব্যে কার্যত গৃহদাহর সম্মুখীন সিপিআইএম। বর্ষীয়ান বাম নেতার দাবি নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা কখনই এক হবে না।” আরও একধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কবে লড়াই করল? বাংলায় ৩ থেকে বিজেপিকে ৭৭ করেছে তো তৃণমূলই। বিজেপির বিরুদ্ধে আমরাই একমাত্র ধারাবাহিক লড়াই করেছি, সেটাই চালিয়ে যাব।”