কলকাতা: করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নেমে এসেছে ঠিকই। কিন্তু ভাইরাস এখনও চলে যায়নি। রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটিও। যে কারণে বিধিনিষেধের রাশ আলগা করলেও তা পুরোপুরি তুলে নেয়নি রাজ্য সরকার। এখনও বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। বাকি গণ পরিবহনের ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই তা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে মূলত দু’টি বিষয়। প্রথমত, কোভিড বিধির তোয়াক্কা না করে পর্যটকদের লাগামহীন ভ্রমণ। দ্বিতীয়ত, রাত নামলেই এক শ্রেণির মানুষের বেলেল্লাপনা। দিন দশেক আগেই রাতের বিধিনিষেধ পালন করা নিয়ে একটি কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল নবান্নর তরফে। কিন্তু তারপরও অনেক ক্ষেত্রে বিধি পালন করছেন না জনগণের একাংশ। যার ফলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় আরও কঠোর শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার করোনা বিধি মানা নিয়ে জেলাগুলিকে আরও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাত ৯ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, সেই বিধিনিষেধ অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ এবং বেশ কিছু হোটেল রেস্টুরেন্ট মানছে না বলে অভিযোগ আসছে। তাই নাকা চেকিং-এর পাশাপাশি প্রয়োজন হলে আবগারি দফতরকেও নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের বলা হয়েছে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতেও নাকা চেকিং বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছে নবান্ন।
মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, যেভাবেই হোক রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত যে বিধিনিষেধ রয়েছে, কড়া হাতে সেটা কার্যকর করতেই হবে। এই সময়ের মধ্যে করোনা বিধি অমান্য করলেই জরিমানা করার নির্দেশ মুখ্যসচিব দিয়েছেন। এ রাজ্যে যদিও রাতের বিধিনিষেধ ‘নাইট কার্ফু’ হিসেবে পরিচিত নয়। কিন্তু রাতের বিধিনিষেধকে গোটা দেশবাসী সাধারণত এই নামেই চেনে। এই সময়ের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোনর ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে প্রশাসনের। আরও পড়ুন: ‘অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন’, অনাথ শিশুদের তথ্যে ‘গরমিল’! রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের