‘অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন’, অনাথ শিশুদের তথ্যে ‘গরমিল’! রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court: যদি সঠিক পরিসংখ্যান না জমা দেওয়া হয়, তবে প্রয়োজনে তদন্তের নির্দেশ দেবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে শিশুদের অনাথ হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার যে তথ্য জমা দিয়েছে, তাতে বেজায় নাখুশ সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র তিরস্কার করেছে শীর্ষ আদালত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, কোভিডের কারণে লকডাউনের সময় জারি হওয়া লকডাউনে রাজ্যে মাত্র ২৭ জন শিশু অনাথ হয়েছে। রাজ্যের দেওয়া এই রিপোর্ট ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলেই জানিয়েছে আদালত। যদি সঠিক পরিসংখ্যান না জমা দেওয়া হয়, তবে প্রয়োজনে তদন্তের নির্দেশ দেবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন স্পষ্ট ভাষায় রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে শিশুকল্যাণের কথা মাথায় রেখে করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতা না মিশিয়ে ফেলে রাজ্য সরকার। করোনার জেরে, বা লকডাউনের কারণে বাবা এবং মা হারা অনাথ শিশুদের সংখ্যা নিয়ে রাজ্যের দাবি প্রকাশ্যে আসার পরই এই ভঙ্গিতে সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের তরফে অনাথ শিশুর সংখ্যা মাত্র ২৭ দাবি করা হলেও সুপ্রিম কোর্ট যে এই তথ্য বিশ্বাস করছে না, তা এ দিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উদ্দেশ্যে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আপনারা যদি দাবি করেন যে মাত্র ২৭ জন শিশু অনাথ হয়েছে, তবে সেই দাবি আমরা নথিভুক্ত করব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটা বড় রাজ্য। আমরা এই পরিসংখ্যান বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নই।”
পালটা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অনাথ শিশুদের তথ্যের তালিকা তৈরির ‘কাজ এখনও চলছে’। তোপ দেগে বিচারপতি রাও পালটা বলেন, “দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন এবং অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন। পরিস্থিতির গুরুত্বটা বুঝুন। অনাথরা চালচুলোহীন অবস্থায় রয়েছে। ওদের রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব, আমাদের নয়। আমরা কেবল শিশুদের তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এই ধরনের অবস্থান নেবেন না।” বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে নতুন হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।