কলকাতা: আগেই বলেছিলেন চিঠি দিচ্ছেন সিবিআইকে (CBI)। সেইমতো এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই চিঠিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে কেন বিরত রাখা হয়েছে, চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে সারদাকাণ্ডে এক সময় বিচারাধীন বন্দি হিসাবে জেলে থাকা কুণাল ঘোষকেও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। বৃহস্পতিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠি শেয়ার করে এই খবর জানিয়েছেন নিজেই।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদার মূল সুবিধাভোক্তা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কুণাল ঘোষ সারদা মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বারবার সে কথা বলেছেন। সোমবার বিধানসভার গেটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আগামী দু’ তিনদিনের মধ্যে সারদাকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসাজশ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ দিয়ে সিবিআইকে অভিযোগ করবেন। সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
২০ জুলাই সেই চিঠি তিনি লেখেন। শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, ‘আমার পূর্ব ঘোষণা মতোই আজ আমি সিবিআই ডিরেক্টরকে ইমেল করেছি। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ডেটার সফট কপিও পাঠিয়েছি। যেগুলিকে প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। যে তদন্ত চলছে তাতে সহযোগিতা করতে পারে এসব প্রমাণ। আমার আশা এবং বিশ্বাস সেইসব লাখো মানুষের উপকার হবে, যারা সারদা কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিচারের জন্য লড়াই করছেন।’
As I had earlier announced, today I have sent an email to the CBI Director; alongwith the soft copy of vital information/data regarding the Saradha Scam, which can be treated as evidence and help in the ongoing investigation.
I hope & believe that it would certainly help the… pic.twitter.com/AZcxIjouUT— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 20, 2023
আপাতত শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি কুণাল ঘোষ। তবে এর আগে গত সোমবার যখন বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু মমতাকে তোপ দেগেছিলেন, তখন কুণালও পাল্টা শুভেন্দুকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। কুণাল বলেছিলেন, শুভেন্দু-সারদা-কাঁথি যোগ সব এক পংক্তিতে বসে। শুধু তাই নয়, কুণালের চ্যালেঞ্জ ছিল, সিবিআই যেন তাঁকে ও শুভেন্দুকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাজ্যজুড়ে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ার মতো। তখন আরও একবার সারদাকাণ্ডের তদন্ত নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।