কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের পরও কোথায় হুঁশ প্রশাসনের? মেট্রো লাইনের নীচেই রমরমিয়ে চলছে কাটা গ্যাসের ব্যবসা। অটোতে ভরা হচ্ছে গ্যাস। অভিযোগ, এলপিজি’র ‘ডোমেস্টিক সিলিন্ডার’ থেকে গ্যাস ভরা হচ্ছে যাত্রিবাহী অটোয়। এই ভাবে গ্যাস ভরাটা বিপজ্জনক। যে কোনও সময়েই যাত্রীবাহী অটো বিস্ফোরণ হয়ে যেতে পারে। সব জেনেও চুপ এলাকার পুলিশ-প্রশাসন। এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে দমদম থানা এলাকার দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন ও বিমানবন্দর মেট্রো লাইনের ব্রিজের নীচের এলাকায়। পাশেই রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। অভিযোগ, সেই কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে মোটরের সাহায্যে চলছে গ্যাস ভরার কাজ।
আবার সেখানে রীতিমতো রেট চার্টও ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ১ কিলো গ্যাসের দাম ধার্য হচ্ছে ৯২ টাকা। ক্যামেরা দেখতেই রীতিমতো সব নিয়ে চম্পট দেন বেআইনিভাবে অটোতে গ্যাস ভরা অটোচালকরা।
প্রশ্ন উঠছে, মেট্রো স্টেশনের পাঁচিলের গায়ে চলেছে এই অবৈধ কাজ। তাসত্ত্বেও কেন প্রশাসনের হুঁশ নেই? রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের? এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর ধনঞ্জয় মজুমদারের মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাভাস মালাকারকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।