কলকাতা: কেকে’র অনুষ্ঠানে টাকার জোগান নিয়ে শনিবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এমনকী তাঁর কথায় উঠে এসেছিল প্রোমাটার-মস্তানদের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাদের থেকে টাকা নেওয়ার কথাও। এবার তা নিয়েই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Trinamool Leader Madan Mitra)। এদিন সৌগতর (Sougata Roy) মন্তব্য প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “বয়স হয়ে গিয়েছে, বার্ধক্য এসে গিয়েছে। তাই বয়স্ক মানুষ হিসাবে কখন কোথায় কী মন্তব্য করছেন তা নিয়ে অযথা জলঘোলা না করে, ঠিক বা ভুল এর বিচার না করে শুনে নেওয়া উচিত। সৌগত রায়ের সমস্যাটা হল যখন যে কথাটা যেখানে বলার প্রয়োজন থাকে উনি তখন সেই কথা সেখানে না বলে পর্দার আড়ালে চলে যান। আবার সেই কথাটাই কদিন পরে যেখানে বলা উচিত নয় সেখানে মন্তব্য করে উনি পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে চান”।
প্রসঙ্গত, শনিবার বরাহনগরে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সৌগত রায় বলেন,“শুনেছি কেকে’র অনুষ্ঠান করতে ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা লেগেছে। এত টাকা কোথা থেকে এল ? টাকা তো হাওয়া থেকে আসে না! এত টাকা জোগাড় করতে সারেন্ডার করতেই হয়। প্রোমোটার বা মস্তানদের কাছে সারেন্ডার করতে হয়। এই বয়স থেকে আত্মসমর্পন করলে ভবিষ্যতে লড়বে কী করে?” এ প্রসঙ্গেই মদন বলেন, “যদি সমস্ত খরচ খরচা হিসাব-নিকাশ ঠিক রেখে মানুষের কাছ থেকে সাহায্যের অর্থ নিয়ে কেউ কোনও অনুষ্ঠান করে তবে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেস য়ারা করে তারা আর যাই হোক তোলাবাজি করে না। তোলাবাজির টাকায় এ ধরনের অনুষ্ঠানও করা হয় না।
সহজ কথায় সৌগত রায়ের কথার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মত মদনের। সামনে একুশে জুলাইয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এরকম একটি পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একুশে জুলাই এর সাফল্য নিয়ে চিন্তা ভাবনা ছেড়ে অহেতুক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজের প্রোগ্রামের খরচ খরচা নিয়ে জলঘোলা না করাই বাঞ্ছনীয় বলে মত কামারহাটির বিধায়কের।