কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে শনিবার বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় বর্ষা ঢোকা বাকি ছিল, রবিবারের মধ্যেই পশ্চিমের সব জেলাগুলিতেই বর্ষা ঢুকে যাচ্ছে। শুধু ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশ বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে ইতিমধ্যেই। আগামী চার পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামী ২১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে খানিকটা কমবে। কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে আগামী পাঁচ দিন। সোমবার কলকাতায় একটু বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ভুটানে পাহাড়ে হওয়া বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীতে জলস্রোত বেড়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি নদীতে জলস্রোত এখনও বিপদসীমার ওপরে।
ডুডুয়া এবং গিলান্ডি নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকেছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১২৬৪ কিউসেক জল ছাড়ায় অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি রয়েছে। আরও জল ছাড়া হবে। কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তোর্সা নদী থেকে হলুদ সঙ্কেত তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও রায়ডাক ১ এবং মানসাই নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি রয়েছে।
বৃষ্টি ও বন্যার জোড়া বিপদে উত্তর-পূর্বে বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবা। একাধিক ট্রেন বাতিল। দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত। বাতিল হয়েছে আলিপুরদুয়ার-লামডিং ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি – দিল্লি নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস, নিউদিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, দিল্লি-কামাখ্যা ব্রহ্মপুত্র মেল, নিউদিল্লি- গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ট্র্যাকে জল জমে যাওয়ায় একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে। নিউদিল্লি-গুয়াহাটি রাজধানী এক্সপ্রেস, অবধ-আসাম এক্সপ্রেস ঘুরপথে রঙ্গিয়া হয়ে চলছে।