Madan Mitra: মদনের গলায় পাঠানের ডায়লগ, সিবিআইকে প্রশ্ন, ‘ও লাভলি দেখেছেন?’
Madan Mitra: এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, "গত ছ'মাসে এতগুলো ক্য়ামেরা পাইনি। শুধু সিবিআই এসেছিল, তাই এত ক্যামেরা। এই জামাটাও সে কারণে পরেছি। একটা ডায়লগ আছে পাঠান, পাঠান, পাঠান। পাঠান অভি জিন্দা হ্যায়। টাইগার মরা নেহি এটা অভিষেক কিন্তু প্রমাণ করে দিল।"
কলকাতা: প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশি ভবানীপুরের বাড়িতে। তবে তাতেও ‘নো টেনশন’ মোডেই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সিবিআই বেরিয়ে যেতেই কালো পাঠান স্য়ুটে বেরিয়ে এলেন ‘মিত্র মশাই’। বললেন, “২৩ মাস কাস্টডিতে থেকেছি।” সিবিআই হানায় তাই এতটুকুও বিচলিত নন, শরীরী ভাষায় তেমনই ইঙ্গিত। মুখে হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় ডায়লগও শোনা গেল ‘মিত্র মশাই’য়ের।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, “গত ছ’মাসে এতগুলো ক্য়ামেরা পাইনি। শুধু সিবিআই এসেছিল, তাই এত ক্যামেরা। এই জামাটাও সে কারণে পরেছি। একটা ডায়লগ আছে পাঠান, পাঠান, পাঠান। পাঠান অভি জিন্দা হ্যায়। টাইগার মরা নেহি, এটা অভিষেক কিন্তু প্রমাণ করে দিল।”
মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়ির পাশাপাশি সিবিআই তল্লাশি চালায় তাঁর কামারহাটির ফ্ল্যাটেও। মদন বলেন, “পাত্রী দেখতে যেমন পাত্রের বাড়ি থেকে লোক আসে, সিবিআইও আমাকে ভালবাসে। ওরা জানে এখানে আসলে এতগুলো ক্যামেরা আসবে। অন্য জায়গায় নাও যেতে পারে। তবে আমাকে জিজ্ঞাসা করার আগেই ওদের জানিয়ে দিয়েছি, আমি কিন্তু ২৩ মাস কাস্টডিতে ছিলাম।” মদনের দাবি, এদিন তিনি সিবিআইয়ের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, “আমার ও লাভলি সিনেমা রিলিজ করেছে। সিনেমাটা দেখেছেন?”
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে হুগলির এক সময়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাঁকে জেরার রেশ ধরেই গ্রেফতার করা হয় অয়ন শীল নামে এক প্রোমোটারকে। অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ই পুরনিয়োগেও দুর্নীতির প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে আসে বলে খবর। ঘটনা গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয় পুরনিয়োগ মামলায়। সেই তদন্তেই শরতের রবিবাসরীয় সকালে রাজ্যজুড়ে তেড়েফুঁড়ে নামে সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র-সহ একাধিক পুরচেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে চলে হানা।