Madhyamik: পাহাড়ে বনধের হুঁশিয়ারি, জ্বর-সর্দির প্রকোপ; মাধ্যমিক নির্বিঘ্নে করতে কী ব্যবস্থা? জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Feb 21, 2023 | 5:29 PM

পর্ষদ সভাপতি বলেন, "যেভাবে জ্বর বা শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছে, তাতে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা রাখছি। প্রতিটি কেন্দ্রে সিক রুম-এর ব্যবস্থা করছি।"

Madhyamik: পাহাড়ে বনধের হুঁশিয়ারি, জ্বর-সর্দির প্রকোপ; মাধ্যমিক নির্বিঘ্নে করতে কী ব্যবস্থা? জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
প্রতীকি ছবি।

Follow Us

কলকাতা: আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। আর এই পরীক্ষার সময় সর্দি-কাশি, জ্বরের উপদ্রপ শুরু হয়েছে। এই ধরনের জ্বর সংক্রামক বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। তাই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এছাড়া পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। যা এবারে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যে আবার পরীক্ষার প্রথন দিন পাহাড় বনধের ডাক দেওয়ায় উদ্বেগে পাহাড়ের পরীক্ষার্থীরা। তবে তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং বিনয় তামাং তাঁকে এব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন মাধ্যমিক পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মাধ্যমিক পর্ষদের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবছর মোট ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট ২ হাজার ৮৬৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। পর্ষদ সভাপতির কথায়, “১০০ শতাংশ পরীক্ষাকেন্দ্রে CCTV থাকছে। ইতিমধ্যে ২,৭৯০ থেকে ২,৭৯৫টি কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলিতেও বসানো হচ্ছে। যে স্কুলগুলি সিসিটিভি বসাতে পারেনি, তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা করছি।” এছাড়া বর্তমানে যেভাবে সকলের মধ্যে সর্দি-জ্বর হচ্ছে, তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে সিক রুম-এর ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে পর্ষদ সভাপতি বলেন, “যেভাবে জ্বর বা শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছে, তাতে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা রাখছি। প্রতিটি কেন্দ্রে সিক রুম-এর ব্যবস্থা করছি। এব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।”

এছাড়া আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। ফলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারির ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মোট ৬২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিচারাধীন রয়েছেন। কিন্তু, তাঁদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি দেওয়া হবে কি না সেটা নিয়ে কোনরকম পলিসি ঠিক হয়নি। আদালত থেকেও কোনরকম নির্দেশ আসেনি। তাই আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তবে আগামীকাল পর্যন্ত সময় রয়েছে। সেখানে কী করা যায় দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ অনেক গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরিও বাতিল হয়েছে। ফলে অনেক স্কুলেই বর্তমানে গ্রুপ ডি কর্মী নেই। সেক্ষেত্রে যে কেন্দ্রগুলিতে গ্রুপ ডি কর্মী নেই, সেগুলির পার্শ্ববর্তী স্কুল থেকে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়ে এসে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

Next Article