কলকাতা: মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদে নাম নথিভুক্ত করাতে হয় নবম শ্রেণিতে। সেই রেজিস্ট্রেশনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা থাকে। এবছরও তা ধার্য করা হয়েছে। তবে এই রেজিস্ট্রেশন নিয়ে উদাসীন রাজ্যের কয়েকটি স্কুল। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তোপের মুখে পড়লেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এই প্রধান শিক্ষকদের নিজের পকেট থেকে দিতে হবে ফাইন। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের নন জুডিশিয়াল ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে যে তাঁর স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের সবার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, লেট ফি দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অভিযোগ, এরপরও কয়েকটি স্কুল এই রেজিস্ট্রেশন করানোর ব্যাপারে উদাসীন। ফলত, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার।
এরপরই আদালতের কড়া সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। বিচারপতি বসু নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২ লক্ষের বেশি টাকা জরিমানা দিতে হবে চার প্রধান শিক্ষককে। এদের মধ্যে রয়েছে, ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান। তাঁকে দিতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি টাকা। পর্ষদের দাবি, ওই স্কুলের ২৪ জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তালিকায় রয়েছে নব নালন্দা (শান্তিনিকেতন) হাইস্কুলের নাম। সেখানে এক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ফলত, প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল চট্টোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এছাড়া হুগলির বিনাপানি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বসুকে দশ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কারণ সেখানে একজন ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রয়েছে আসানসোলের সেন্ট মেরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা সরকার। তাঁকে ২৫ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা। বৃহস্পতিবার এই পড়ুয়াদের তথ্য জমা নেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলে জানা গিয়েছে।