Magrahat Murder Case: খাস কলকাতায় অফিস, অগ্রিম অনলাইন পেমেন্ট, ব্যবসার নামে কীভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল জানে আলম?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 10, 2022 | 8:47 PM

Jane Alam: খাস কলকাতায় একটি অফিসও খুলেছিল জানে আলম। ৪৭/২ বোস পুকুর রোডে একটি অফিস খুলে ব্যবসার নাম করে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল জানে আলম মোল্লা। কম দামে মুদি মাল সরবরাহ করা হত কসবা এলাকার ওই অফিস থেকে।

Magrahat Murder Case: খাস কলকাতায় অফিস, অগ্রিম অনলাইন পেমেন্ট, ব্যবসার নামে কীভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল জানে আলম?
অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা : মগরাহাট জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু কোনও ব্যবসাই বেশি দিন ধরে করত না। সব ব্যবসার করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। প্রতারণার টাকায় জানে আলম শুধু যে নিজে ফুলে ফেঁপে উঠছিল তাই নয়, ধীরে ধীরে পা বাড়াচ্ছিল আরও বড় ব্যবসার দিকে। চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তার নামে। চেন ব্যবসায় এজেন্ট নামানোর নাম করে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। এর পাশাপাশি ইট-বলি-সিমেন্টের ব্যাবসায় নেমে টাকা নিয়ে মাল সরবরাহ না করার অভিযোগ তো রয়েছেই। এছাড়া মাস খানেক আগে জৈব সার তৈরির ব্যবসাও শুরু করেছিল।

শুধু তাই নয়, খাস কলকাতায় একটি অফিসও খুলেছিল জানে আলম। ৪৭/২ বোস পুকুর রোডে একটি অফিস খুলে ব্যবসার নাম করে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল জানে আলম মোল্লা। কম দামে মুদি মাল সরবরাহ করা হত কসবা এলাকার ওই অফিস থেকে। সে কথা জানতে পারার পরে অনেকই আগ্রহী হয়ে মাল নিতে শুরু করে। কেউ কেউ আবার নিজের পেশা ছেড়ে জানে আলমের কাছ থেকে কম দামে মুদি মাল সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে নিজের মতো করে ব্যবসাও শুরু করেছিল।

প্রতারিত এক দম্পতির দাবি, জানে আলমের থেকে মুদি সামগ্রী নিতে হলে টাকা আগে ভাগেই দিয়ে দিতে হত অনলাইনে, তারপর পাওয়া যেত জিনিস। অভিযোগ, কয়েকবার টাকা দিয়ে যথাযথা সময়ে মালপত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে জিনিস নেওয়ার জন্য টাকা দিয়ে, না পেয়েছেন ব্যবসার সামগ্রী, না পেয়েছেন টাকা। শুধু ওই দম্পতি নয় , আরও অনেকেই এই একইভাবে জানে আলমের প্রতারণার শিকার বলেই দাবি ওই দম্পতির। এক এক করে সকলে যখন টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে, তারপরেই অফিস বন্ধ করে দেয় জানে আলম। এমনকী সকলের ফোন নম্বর ব্লক লিস্টেও করে দিয়েছিল। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কেউ কেউ কসবা থানার দ্বারস্থ হয় বলেও দম্পতির দাবি।

আরও পড়ুন : AIFB changes party flag: বিধি বাম কাস্তে-হাতুড়ি! ভোল বদলে জাতীয়তাবাদে ধার বাড়াচ্ছে নেতাজির ফরওয়ার্ড ব্লক

Next Article