Mamata Banerjee: ‘মা শীতলার মন্ত্র এখনও জানা নেই… জেনে নেব’, সোনার ঝাঁটা দিয়ে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 02, 2022 | 5:33 PM

Mamata Banerjee: বৃহস্পতিবার শীতলা পুজো উপলক্ষে ভবানীপুরের একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ি দিয়ে পুজোও দেন তিনি।

Mamata Banerjee: মা শীতলার মন্ত্র এখনও জানা নেই... জেনে নেব, সোনার ঝাঁটা দিয়ে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
শীতলা মন্দিরে মমতা

Follow Us

কলকাতা: নিজের বাড়িতে কালীপুজো করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, এমনকি রাজনৈতিক সভাতেও মন্ত্র উচ্চারণ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তবে শীতলা মন্দিরে গিয়ে তিনি জানালেন মা শীতলার মন্ত্র তাঁর শেখা হয়নি। তাই ‘ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে’ মন্ত্রই পাঠ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে কাঁসারি পাড়ায় শীতলা মন্দিরে পুজো উপলক্ষে গিয়েছিলেন মমতা। বেনারসী শাড়ি, সোনার ঝাঁটা দিয়ে পুজোও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, এই শীতলা মন্দিরে তিনি প্রায়ই আসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের মাঝেই মমতা বলেন,  ‘শীতলা পুজোর মন্ত্র আমার জানা নেই। অনেক মন্ত্রই জানি। কিন্তু শীতলা মায়ের মন্ত্র এখনও শেখা হয়নি। জেনে নেব।’ এই বলেই ‘ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে’ মন্ত্র পাঠ করেন তিনি। মমতা উল্লেখ  করেন, এই মন্ত্র যে কোনও পুজোতেই পাঠ করা যায়। এ দিন মমতা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা ঝাঁটা দেন শীতলা মাকে। মাস দেড়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। তা তৈরি করে পুজো কমিটি রেখে দিয়েছিল। এ দিন সেই ঝাঁটাটি শীতলা মাকে অর্পণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে তা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। তারপর সেটি শীতলা মায়ের হাতে দেওয়া হয়। তবে মন্ত্র না জানলেও শীতলা পুজোর মাহাত্ম্য বুঝিয়ে তিনি জানান, মা শীতলা মানে মা সকলকে ঠাণ্ডা রাখেন। মা যেন সকলকে শীতল রাখেন। এটাই তাঁর তাৎপর্য। যাঁরা দুষ্টুমি করেন তাঁদেরকে মা শাস্তি দেন।

ছেলেবেলার দুর্গাপুজো গল্প বলার পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সব পুজোতেই যোগ দেন তিনি। তিনি জানান, শুক্রবারই সিঙ্গুরে যাচ্ছেন তিনি। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় যখন অনশনে বসেছিলেন মমতা তখন মা সন্তোষী মায়ের ব্রত শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষকরা জমি ফিরে পেলে একটা ছোট্ট মন্দির বানিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। সেই মত মন্দিরও গড়ে দেন তিনি। শুক্রবার সেই মায়ের মুখ দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে সব শেষে তিনি বলেন, ‘আমি সব ধর্মের সাধক। সব ধর্ম আমার নিজের ধর্ম। সত্যি মানবিকতার থেকে বড় ধর্ম আর কিছু হয় না। আমি রোজা ভাঙাতেও যাই। পুজোয় ভোগও খাই।’

 

Next Article