কলকাতা : নেতিবাচক দিকগুলোকে তুলে ধরে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু ভাল কাজ নিয়ে কারও মাথাব্যাথা নেই। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে যে সৃজনশীলতা সামনে আসে, তাতে কেউ গুরুত্ব দেন না। পাশাপাশি, শিশুপাঠ্যের কথা বলতে গিয়ে বাংলার কিছু জনপ্রিয় ছড়া বা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, তখন কত কবিতা পড়তাম। সে সব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেন না। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে অথবা কাঠবিড়ালি তুমি আমার বন্ধু হবে অথবা এক্কা দোক্কা, এ সব নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন তোলেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখন কোনও বাচ্চার জন্য কিছু তৈরি করবেন, তখন মনটা বাচ্চার মতো হতে হবে। তাদের মতো করে ভাবতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্র ছাত্রীদের পড়াতে গেলেও তাদের মতো ভাবতে হবে। আবার বৃদ্ধাশ্রমে কাজ করতে গেলে বয়স্কদের মতো ভাবতে হবে।
হরেকরকম্বাও শব্দের অস্তিত্ব নিয়েও কথা বলেন মমতা। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মুখে হরেকরকম্বা শুনে কেউ হয়ত বলতে পারেন এমন কোনও শব্দ হয় না। কিন্তু পুরনো কবিতার বই খুললে এমন শব্দের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের লেখা একাধিক কবিতার বই আছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সেই পুরস্কার প্রাপ্তির পর মমতা সাহিত্যচর্চা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হয়। তাঁর কবিতা উদ্ধৃত করে সমালোচনা করেন কেউ কেউ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, এ দিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও সাহিত্য চর্চা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।