কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘ফোঁস’করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জেলায়-জেলায় দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের ‘ছোট-বড়-মাঝারি’ নেতারা ময়দানে নেমে একের পর এক হুমকি দিচ্ছিলেন। এরপর রবিবার পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে ফের সেই ফোঁসের গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাফ এবং টাফেরও পরামর্শ দিলেন তিনি। এমনকী বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করার পাশাপাশি, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে গেল পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্য়মন্ত্রীকে।
বস্তুত, আরজি কর হোক বা জয়নগরের ঘটনা। বারেবারে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে পুলিশকে। আরজি করের ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। এমনকী চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে সরানো হয়েছে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। এবার জয়নগরের ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এমনই আবহে দেখা গেল পুলিশের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, কাজ করে বলেই ভুল হয়। যে কাজ করে না কে তাঁকে গালিগালাজ করবে? পুলিশ সব সময় ডিউটি করেন। উৎসব-আনন্দ-অনুষ্ঠানে প্রতিমহূর্তে তাঁরা কর্তব্যে অবিচল থাকেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আপনাদের আরও স্ট্রং হতে হবে। উপরে থাকবেন কুল। ভিতরে বোল্ড। বি রাফ অ্য়ান্ড টাফ। সামটাইম বি সফট। অপরাধীদের কোনও রকম ক্ষমা করবেন না সে যেই হোক। সরকার আপনাদের সঙ্গে আছেন।” এরপরই তিনি ফের রামকৃষ্ণর সাপের গল্প শোনান। মমতা বলেন, “পুলিশকে ফুলিস ভাববেন না।অধিকার সকলের আছে।”