কলকাতা: রাজ্যের শাসক দলের দুই তাবড় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআই-এর হাতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গরু পাচারের তদন্তে অসহযোগিতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে শুরু থেকেই দল কড়া অবস্থান নিয়েছে। হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব, দলের সব পদ। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে দল এখনও পর্যন্ত বেশ নমনীয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও একাধিকবার অনুব্রতর প্রশংসা করেছেন। কখনও বেহালা ম্যান্টনে, তো কখনও আবার দলীয় সভায়। এবার বিধানসভার অন্দরে অধিবেশন চলাকালীনও উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “কেষ্ট বীরপুরুষ অবশ্যই। বীরপুরুষ প্রেমেন্দ্র মিত্রর কবিতা।”
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা। সম্প্রতি মমতা এক কর্মসূচি থেকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেদিন মমতা দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “কেষ্ট যতদিন ফিরে না আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পর বিরোধী দলগুলি থেকে বার বার আক্রমণ করা হয়েছে শাসক শিবিরকে। বিভিন্নভাবে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদিন বিধানসভায় আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথায় বুঝিয়ে দিলেন, অনুব্রত প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থানে কোনও বদল হয়নি। এই প্রসঙ্গে এদিন প্রেমেন্দ্র মিত্রর বীরপুুরুষ কবিতার কথাও বিধানসভায় উল্লেখ করেন তিনি।
বেহালা ম্যান্টনে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতের অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয়েছিল… তা এখনও অব্যাহত। একাধিকবার অনুব্রতর হয়ে ব্যাট ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বেহালায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন অনুব্রত মণ্ডল কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? কী করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? এরপর দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও বলেছিলেন, “কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে আমি খুব কম দেখেছি।” এবার বিধানসভাতেও উঠে এল সেই ‘কেষ্ট’ প্রসঙ্গ।