কলকাতা: অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে বিজেপি জিতছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা তিনি মানেন না, TV9 বাংলার কনসালটিং এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীকে এক্সক্লুসিভলি জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মানুষের চোখ দেখেই আত্মবিশ্বাসী তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কোনও নম্বরে যাব না। আমরা যেভাবে মাঠে-ঘাটে কাজ করেছি, আমি লোকের চোখ দেখেছি, তাতে আমার কখনও মনে হয়নি মানুষ আমাদের ভোট দেবে না।”
নির্বাচনের আবহে এই একই কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।গত বছরই নবজোয়ার কর্মসূচিতে কার্যত জল মেপেছেন অভিষেক। এবছরের শুরু জেলায় জেলায় ঘুরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচি,মানুষের আবেগ বুঝেছেন মমতা-অভিষেক।
উত্তর থেতে দক্ষিণের জেলা, প্রত্যন্ত গ্রামে সভা করেছেন মমতা-অভিষেক। শেষ দফার আগে দু’দিন রোড শো করেছেন মমতা। এন্টালি, বিরাটি, গড়িয়া মমতাকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চব্বিশের মহারণের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিদ্ধ করতে দাঁত কামড়ে লড়়াই করেছে বিজেপি। অনবরত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হানা, হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী-আমলাদের গ্রেফতারি, তৃণমূলকে ব্যাক ফুটে ফেলেছিল কিছুটা। উল্টে ‘মেরুকরণে’র উস্কানিকে সামনে রেখে লড়াই করেছেন মমতা-অভিষেক। নির্বাচনী প্রচারে মানুষের উচ্ছ্বাসে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে তৃণমূলকে।
মমতা বলেছেন, “বিজেপি অনেক শয়তানি করেছে। সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স রেইড, সিএএ, ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল, চাকরি খেয়ে নেওয়া, টাকা বন্টন করা। এমনকি, কংগ্রেসের এলাকাতে মুসলিম দেখে দেখে টাকা দিয়েছে। আমার মনে হয় না মুসলিমরা ওদের ভোট দেবে।”