কলকাতা: বুথ ফেরত সমীক্ষা তিনি মানেন না। TV9 বাংলার কনসালটিং এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীকে এক্সক্লুসিভলি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথ ফেরত নিয়ে তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন মুখ খোলেন সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়েও। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেন, “কংগ্রেসের এলাকাতে মুসলিম দেখে দেখে টাকা দিয়েছে। আমার মনে হয় না মুসলিমরা ওদের ভোট দেবে। তারপরও ওরা কংগ্রেসীদের টাকা দিয়েছে, যাতে কংগ্রেসকে ভোটটা দেয়, তৃণমূলের ভোটটা কাটা যায়। সিপিএমও করেছে। আমরা একসঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি।”
এবারের লোকসভা নির্বাচনে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মেরুকরণের অঙ্ক। শেষ দফা নির্বাচনের আগে বঙ্গে এসে মেরুকরণের অঙ্কটা আরও বেশি করে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনের আবহের মধ্যেই তৃণমূল জমানার সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছে। আর এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছিলেন. সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতেই মুসলিমদের ওসিবি শংসাপত্র দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই যোগ্যরা শংসাপত্র পাননি। মথুরাপুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু এরপরও মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করছেন, মুসলিম ভোট কেনা বেচা চলেছে। তৃণমূলের ভোট কাটতে মুসলিম দেখে দেখে টাকা দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা কংগ্রেসকে ভোটটা দেন। যাতে তৃণমূলের ভোটটা কাটা যায়।” তবে মমতা আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না মুসলিমরা ওদের ভোট দেবে।”
প্রসঙ্গত, প্রথম দফার ভোটের পরেই কংগ্রেসের ইস্তাহারে ‘মুসলিম লিগের মনোভাবে’র কথা বলেন মোদী। মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, মথুরাপুর,লোকসভা কেন্দ্রগুলির অনেকটাই শক্তিশালী সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। যতই রাজনীতির অঙ্ক কষা হোক না কেন, এবারের নির্বাচনে থেকেই গিয়েছে মেরুকরণের হাওয়া।