AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কারা ছেড়ে গেল তা ইগনোর করুন’, বাংলার ‘ঐতিহ্য রক্ষা’য় ঝাঁপাচ্ছেন মমতা

বাংলার ঐতিহ্য-গরিমা রক্ষা এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানকে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচল লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস

'কারা ছেড়ে গেল তা ইগনোর করুন', বাংলার 'ঐতিহ্য রক্ষা'য় ঝাঁপাচ্ছেন মমতা
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jan 08, 2021 | 8:13 PM
Share

কলকাতা: দলে ছেড়ে কারা গেল, আর কারা দলে এল, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “কারা ছেড়ে গেল তা ইগনোর করুন। কাজের বার্তা পৌঁছে দিন মানুষের কাছে।”

অর্থাৎ একটা বিষয় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। দলের ভাঙন নিয়ে খুব একটা ভাবিত নন নেত্রী। এমন একটা সময়ে যখন তৃণমূলের একের এক পর হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কেরা ‘বেসুরো’ গাইছেন, তখন লক্ষ্য স্থির রেখেই এগিয়ে যেতে চাইছেন মমতা।

শুক্রবার কালীঘাটে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে তৃণমূল। সেখানে স্থির হয়েছে, বাংলার ঐতিহ্য-গরিমা রক্ষা এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানকে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচন লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বলেছেন, “এবারের লড়াই বাংলার ঐতিহ্য-গরিমা রক্ষার লড়াই।” ঠিক যখন বিজেপি একুশের ভোটের আগে রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজীর দিকে অতিরিক্ত ‘মনোযোগ’ দিতে শুরু করেছে, তখন মমতাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাঙালির ঐতিহ্যই হবে তাঁর আসল হাতিয়ার। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে তার সঙ্গে উন্নয়ন মন্ত্রও যোগ করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে সরকারের দুয়ারে দুয়ারে প্রকল্প বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেই আশাবাদী তৃণমূল শিবির।

আরও পড়ুন: টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর জায়গায় দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটক। আসন্ন ভোটের আগে এই শূন্যস্থান পূরণের কতটা সুফল পাওয়া যায়, সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে নতুন ইস্তেহার কমিটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে কী ধরনের ইস্তেহার তৈরি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রত্যেকের কাছে পরামর্শও চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২০০৯ প্রাইমারিতেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার, প্যানেল প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ