কলকাতা: সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল। এক দিকে যখন অ-বিজেপি দলগুলির জোটের সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে, তার মধ্যেই জল্পনা বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার খবরে। সূত্রের খবর, জুলাই মাসেই দিল্লি যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে গিয়ে তিনি অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে দিল্লিতে মমতার ভাষণ শোনানো হবে। আর তারপরই রাজধানী সফরে যেতে পারেন মমতা।
এ বার ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচী তৃণমূল যে ভাবে সাজিয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যের বাইরে বিস্তার বাড়াতে তৎপর তৃণমূল। ২১শে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ভাষণ দেবেন, তার সরাসরি সম্প্রচার হবে দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে থাকা দলীয় কার্যালয়ে।অসম কিংবা ত্রিপুরার মতো রাজ্য যেখানে তৃণমূলের সংগঠন আগে থেকেই রয়েছে সেখানে তো ভাষণ শোনানো হবেই। তবে চমকপ্রদ বিষয় হল, গুজরাট বা উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যেও মমতার ভাষণ শোনানো হবে। যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ঘাসফুল শিবিরের এই সব কর্মসূচী থেকে স্পষ্ট যে ২০২৪-কে সামনে রেখে আর শুধু বাংলাতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না তৃণমূল। ‘বাংলার মেয়ে’-র প্রভাব এ ভাবেই অন্যান্য রাজ্যে বাড়ানো হবে। অন্যদিকে বাংলার নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর থেকেই অ বিজেপি দলগুলির সংগঠন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কখনও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক কখনও এনসিপির সঙ্গে অন্যান্য দলের নেতা-নেত্রীদের বৈঠক সেই জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। আর অ-বিজেপি দলগুলির সেই জোটের মুখ হয়ে উঠতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, সেই জল্পনা বহুদিন ধরেই।
ইরিমধ্যেই মমতার স্লোগানে বাজিমাৎ করার চেষ্টা করছে অ-বিজেপি দলগুলি। উত্তর প্রদেশে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সে রাজ্যের দেওয়াল লিখনে দেখা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি একই স্লোগান শোনা গিয়েছে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুখেও। আরও পড়ুন: যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক টাকার চুরি, ল্যাব থেকে উধাও যন্ত্রাংশ