যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক টাকার চুরি, ল্যাব থেকে উধাও যন্ত্রাংশ

Jadavpur University: অতিমারীর জন্য অনেক দিন ধরেই বন্ধ ইউনিভার্সিটি। তারই মধ্যে ল্যাব থেকে চুরি গেল লক্ষাধিক টাকার জিনিস।

যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক টাকার চুরি, ল্যাব থেকে উধাও যন্ত্রাংশ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 8:19 PM

পৌলমী রায় বন্দ্যোপাধ্য়ায়: রাতারাতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে চুরি গেল লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ। ল্যাবরেটরির প্রায় ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে, যার দাম কয়েক লক্ষ টাকা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবরেটরি থেকে চুরি গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। বুধবার সকালে এসে বিভাগীয় আধিকারিকরা দেখেন ল্যাবরেটরির গেটের তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উধাও। আর বাকি যন্ত্রাংশ একপাশে গুছিয়ে রাখা। সম্ভবত সেগুলিও পরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

অতিমারির কারণে বছর খানেক ধরেই বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের যাতায়াতও কম। আর এর সুযোগেই চুরি হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকার জিনিস। পড়ুয়া বা অধ্যাপকরা না গেলেও সর্বক্ষণ পাহারায় থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই চুরি হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অধ্যাপকেরা জানিয়েছেন, এমন কিছু যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে, যা ল্যাবরেটরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই খবর পেয়েই তৎপর হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, গতকাল এই খবর পেয়েই বিভাগীয় প্রধানকে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সেই চিঠি পেয়েই তিনি এফআইআর করেছেন থানায়। এরপর পুলিশ আধিকারিকেরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশের তদন্তের রিপোর্ট পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে বাংলা বিভাগ থেকেও বেশ কিছু জিনিস চুরি গিয়েছিল। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মেহগনি গাছ চুরি যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘এর আগেও বাংলা বিভাগে চুরি হয়েছে। অনেকেই বলেন, ভিতরের কেউ সাহায্য করছেন না তো?’ এক অধ্যাপক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘শুধু বাংলা বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নয়, এতদিন বন্ধ থাকার পর অন্যান্য বিভাগে গিয়ে কী দেখব, জানা নেই।’ আরও পড়ুন: ওঁদের অনেকেই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন! ট্রলারের কেবিনের ভিতর পরপর ৯টা ‘লাশ’