জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত সে, JMB কাণ্ডে ধৃত মূল লিঙ্কম্যান
Kolkata JMB: ধৃত ৩ জঙ্গিকে সমস্ত ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করত লালু। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন।
কলকাতা: জেএমবি যোগে গ্রেফতার হল মূল লিঙ্কম্যান (Kolkata JMB)। বারাসত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ধৃতের নাম রাহুল সেন ওরফে লালু সেন।
সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র যে মডিউল গ্রেফতার হয়েছে, তার লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করত লালু। ধৃত তির ভক্ন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদের লালুর নাম উঠে আসে। লালু তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। এই তিন জনের যাবতীয় ভুয়ো নথি অর্থার জাল আধার-ভোটার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে লালুর বড় ভূমিকা ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা-সবই করে দিত লালু।
ধৃত ৩ জঙ্গিকে সমস্ত ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করত লালু। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূলত ‘ধূরের’ কাজ করত। নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান- এসব করত লালু। সেই সূত্রেই তিন জঙ্গির সঙ্গে তার আলাপ। পরবর্তীকালে তিন জনকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছে লালু। এসটিএফ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছে। আর এই চক্রে আরও কে কে জড়িত, আর কার কার নথি লালু তৈরি করেছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেহাদি ভাবধারা প্রচার করা এবং যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে দলে টানাই ছিল ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গির কাজ। জেরায় আপাতত সে বিষয়টি স্বীকার করেছে ধৃতরা।
এই কাজের জন্যে ধৃতরা প্রত্যেকেই একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। বিভিন্ন নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচার চালানোর জন্য ব্যবহার করা হত একাধিক মোবাইল ফোন। ভুয়ো নথি দিয়ে সিম কার্ড তুলে সেই সব ফোন ব্যবহার করা হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
এসটিএফের হাতে ধরা পড়ার আগেই ধৃতরা নিজেদের ব্যবহৃত বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড সরিয়ে ফেলে। সেই সব মোবাইল ফোন ও সিমকার্ডের হদিশ পেতে চান গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ই বড়িশার এক বৃদ্ধের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য তাঁর ভোটার পরিচয়পত্র নেয় জেএমবি’র কলকাতা মডিউলের লিঙ্কম্যান সেলিম মুন্সি। আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে ‘সমমনোভাবাপন্ন বন্ধু’ পাতানোই ‘টাস্ক’ ছিল ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গির!