ওঁদের অনেকেই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন! ট্রলারের কেবিনের ভিতর পরপর ৯টা ‘লাশ’
Bakkhali Boat Accident: বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের রক্তেশ্বরী চড়ার কাছে ট্রলারটি উল্টে যায়। ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বকখালির (Bakkhali) কাছে ট্রলার দুর্ঘটনায় ৯ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল। এখনও নিখোঁজ এক মৎস্যজীবী। বুধবার মধ্যরাতে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়াতে দেহগুলি তোলা হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলার মা হৈমবতির কেবিনের ভেতর থেকে দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে। মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা নামখানার হরিপুর, মহারাজগঞ্জ, পাতিবুনিয়ার বাসিন্দা।
দুপুরের পবুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের রক্তেশ্বরী চড়ার কাছে ট্রলারটি উল্টে যায়। ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন।র ট্রলারটিকে চিহ্নিত করে উপকূল রক্ষী বাহিনীর এয়ারক্রাফ্ট ও হোভারক্রাফ্ট। পরে ১২টি মৎস্যজীবী ট্রলার দিয়ে ডুবো ট্রলারটিকে টেনে আনা হয়। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার, কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে যাবেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। মৃত মৎস্যজীবীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রত্যেক মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কোনও আশ্বাসেই বাঁধ মানছে না মত্স্যজীবীদের পরিবারের চোখের জল!
কিন্তু প্রশ্ন শান্ত সমুদ্রে কীভাবে দুর্ঘটনা? সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “১২ জনকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সামনে চরা ছিল। ভাটার সময়ের ঢেউতেই ট্রলারটি ডুবে যায়।”
উপকূলরক্ষী বাহিনীর কমাডান্ট অভিজিত্ দাশগুপ্ত বলেন, “সন্ধ্যা পর্যন্ত এয়ারক্রাফ্ট তল্লাশি চালিয়েছে। জাহাজও এখনও ওই এলাকাতেই রয়েছে। ট্রলারটি নিয়ে আসা হয়েছে। ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও এক জনের খোঁজ মিলছে না।” আরও পড়ুন: চায়ে চুমুক দিতেই চোখ পড়ে কুকুরের দিকে, পাশে রক্তের ফোঁটা! সদ্যোজাতর পরিণতিতে স্থবির প্রত্যক্ষদর্শীরা