কলকাতা : পুলিশ প্রশাসনের পর এবার স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় রাজ্যের সবক’টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, এমএসভিপি এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে হবে বৈঠক। কলকাতার সবকটি মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত, বেলেঘাটা আইডি’র অধ্যক্ষ, এমএসভিপি’কে সশরীরে নবান্নে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার বদলি ঘিরে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে বিরূপ প্রভাব ফেলার নজির যেমন রয়েছে তেমনই তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির কীর্তিতে বারবার মুখ পুড়েছে সরকারের। তাই কোভিডের পর স্বাস্থ্য প্রশাসনকে একযোগে বৈঠকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছেন সরকারি চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদ থেকে চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন দায়িত্ব দিয়ে উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যার ডিরেক্টর অব হেলথ সার্ভিসেস বা ডিএইচএস পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। আর অন্যদিকে তাঁর জায়গায় রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন চিকিৎসক সিদ্ধার্থ নিয়োগী। কেন এই বদলি, তা নিয়ে চাপানউতোর হয়েছে অনেক। এরই মাঝে চিকিৎসকদের একটি গ্রুপে অজয় চক্রবর্তীর লেখা নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়। আচমকা বদলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুরও ধরা পড়ে তাঁর লেখায়। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযো নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সরাসরি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আনেন। তিনি দাবি করেন, বেশ কিছু ‘অন্যায়’ দাবি মানতে বলা হয়েছিল তাঁকে। না মানলে বদলি করে দেওয়া হবে বলেই নাকি হুমকি দেন নির্মল মাজি। আর এ সব বিতর্কের মাঝেই এবার বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।